ঢাকা ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
মেসি-সুয়ারেজ গোলবিহীন, জিতল না মায়ামি লেবাননজুড়ে আরও ডিভাইস বিস্ফোরণে নিহত ২০ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেফতার অবশেষে কমল ফেডের নীতি সুদহার, এক ধাপে দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়তে ছাত্র সংসদের কোনো বিকল্প নেই মেট্রোরেল বন্ধ থাকার বিষয়ে তদন্ত করতে কমিটি গঠন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ নিউইয়র্কে হবে না ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক আনিসুল-সালমান-মামুন-পলক-মানিক নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

অধিকারের আদিলুর-এলানের মামলার রায় পেছাল

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩,  1:41 PM

news image

২০১৩ সালে ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ মামলার রায়ের জন্য ধার্য ছিল। তবে তা প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত রায় ঘোষণার জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া বিষয়টি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলাম সমাবেশ করে। পরে সমাবেশস্থলে রাত্রিযাপনের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা। তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে যৌথ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই অভিযানে ৬১ জন নিহত হন বলে দাবি করেছিল অধিকার। তবে সরকারের ভাষ্য, সেই রাতের অভিযানে কেউ মারা যায়নি।

শাপলা চত্বরে অভিযানের পর ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন ডিবির তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য অভিযোগ আমলে নেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৪ সালে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামি আদিলুর ও এলান ৬১ জনের মৃত্যুর বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করে।’

আরও বলা হয়, ‘তারা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করে, যা তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ও (২) ধারায় অপরাধ। একইভাবে ওই আসামিরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা চালায় এবং সরকারকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালায়।’

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির