অনাস্থা ভোটের আগে বিক্ষোভের ডাক ইমরান খানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৩ এপ্রিল, ২০২২, 11:11 AM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৩ এপ্রিল, ২০২২, 11:11 AM
অনাস্থা ভোটের আগে বিক্ষোভের ডাক ইমরান খানের
অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটের প্রাক্কালে, বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় তরুণদের উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। টেলিভিশনে সরাসরি প্রশ্ন-উত্তর সেশনে অংশ নিয়ে ইমরান খান তরুণদের বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। টেলিভিশন বক্তব্যে তিনি বলেন, রোববারের (৩ এপ্রিল) গুরুত্বপূর্ণ ভোটের জন্য একাধিক পরিকল্পনা করেছেন তিনি এবং পুরো জাতিকে চমক দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতীয় অধিবেশনে তার দলের কৌশল সম্পর্কেও তার মত পরিবর্তন করেছেন বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে, অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কের সময় উপস্থিত থাকবেন সংসদে। তিনি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) আইনপ্রণেতাদের রোববারের কার্যক্রমে অংশ নিতে এবং তাদের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সোচ্চার প্রতিবাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশটির গণমাধ্যম ডনকে তথ্যমন্ত্রী ফুয়াদ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন যে, রোববার অনাস্থা ভোট স্থগিত করার যে আহ্বান জানিয়েছিল ইমরান খানের দল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং দলের হয়ে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন।
শনিবার ( ২ এপ্রিল) রাতে অন্তত ১৪০ জন দলের আইনপ্রণেতা প্রধানমন্ত্রীর ডিনার পার্টিতে অংশ নেন বলে দাবি করেছেন ফুয়াদ চৌধুরী। বিরোধীদলীয় নেতাদেরও সংসদে কথা বলার সুযোগ থাকবে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন দল তাদের বিক্ষোভকারীদের ডি-চক এবং সংসদ ভবনের মূল ফটক পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনা সত্ত্বেও। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী। সংবিধান অনুযায়ী সবকিছুই চলছে বলে দাবি করেন তিনি।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ আহমেদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট রোববার (৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলো। গত ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে আলোচনার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এ প্রস্তাব নিয়ে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি। বিধি অনুযায়ী প্রস্তাব উত্থাপনের পর আলোচনা শুরু করতে ন্যূনতম তিন দিন থেকে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় নেয়া যায়।