আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে ৯২০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জুন, ২০২২, 1:01 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জুন, ২০২২, 1:01 PM
আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে ৯২০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে ১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৯০ টাকা ধরে) প্রায় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা। দ্য এক্সিলারেটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড কানেকটিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস) প্রোগ্রাম (ফেজ-১)-এর আওতায় এই ঋণের অর্থ ব্যয় করা হবে। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে সংস্থাটি। বুধবার (২৯ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয়বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ট উইগ শেফার বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য দক্ষিণ এশিয়ার মোট বাণিজ্যের মাত্র পাঁচ শতাংশ, যেখানে পূর্ব এশিয়ায় এর পরিমাণ ৫০ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে আঞ্চলিক বাণিজ্য জরুরি। আঞ্চলিক বাণিজ্য এই অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বড় অংকের এই অর্থায়নের আওতায় প্রথম ধাপে বাংলাদেশ এবং নেপালের বাণিজ্য আরও আধুনিক ও ডিজিটাল করা হবে। কারণ এই করিডরে ম্যানুয়াল এবং কাগজভিত্তিক বাণিজ্য প্রত্রিয়া চলছে। এর মধ্য দিয়ে অটোমেশনের মাধ্যমে দ্রুত ও কম সময়ে সীমান্ত পরাপারের সক্ষমতা অর্জন এবং ট্রাক প্রবেশ ও বের হওয়া দ্রুততর হবে। এছাড়া ইলেকট্রনিক সারি এবং স্মার্ট পার্কিংয়ের জন্য ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং ইনস্টল করা হবে। এ অর্থায়ন নেপাল ও ভুটানকে বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রবেশদ্বার দেশগুলোর সঙ্গে একীভূত করতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ুকের সঙ্গে শেওলা স্থলবন্দর সংযুক্ত প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৭৫ দশমিক ৩৪ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। এসিসিইএসএস কর্মসূচি বাংলাদেশের আওতায় এ অর্থ ব্যয করা হবে। শেওলা স্থলবন্দরকে সংযুক্ত করে ৪৩ কিলোমিটার দুই লেনের সিলেট-চরকাই-শেওলা সডকটিকে চার লেনে উন্নীত করা হবে। এছাড়া প্রকল্পটি বেনাপোল, ভোমরা এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরে ডিজিটাল সিস্টেম, অবকাঠামো এবং আরও কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশের তিনটি বৃহত্তম স্থলবন্দর যা প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিভিত্তিক বাণিজ্য পরিচালনা করে। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের আধুনিকীকরণে সহায়তা করবে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে ২৭ দশমিক ৫ কোটি ডলার ব্যয় হবে। যা পূর্ব-পশ্চিম হাইওয়ে বরাবর ৬৯ কিলোমিটার দুই-লেনের বুটওয়াল-গোরুসিংহে-চনাউতা সড়ককে একটি জলবায়ু সহনশীল চার লেনের হাইওয়েতে উন্নীত করবে। এটি ব্যবসায়ীদের বড় সুযোগ বয়ে আনবে। এসিসিইএএস কর্মসূচি নেপালের আওতায় এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত এবং নেপালের মধ্যে বাণিজ্য ২০১৫-১৯ পর্যন্ত ছয় গুণ বেড়েছে। এ প্রকল্পটি বাংলাদেশকে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও পরিবহনের উন্নতিতে সাহায্য করবে। ফলে করোনার মতো সংকটেও বাণিজ্য কার্যক্রম চলমান থাকবে।