আ.লীগের কমিটির দ্বন্দে হত্যা, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ আগস্ট, ২০২২, 4:13 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ আগস্ট, ২০২২, 4:13 PM
আ.লীগের কমিটির দ্বন্দে হত্যা, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি
রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের কমিটির বিরোধে প্রাণ যায় দোকানি আল আমিনের। এই ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্ত্রী রিতা আক্তার।রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম এসোসিয়েশন (ক্রাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
নিহত আল আমিনের স্ত্রী রিতা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বুধবার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আল আমিন সরকারকে (৩৪) মসজিদে ভিতর ঢুকে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। আল আমিন সরকারের একটি হাত কেটে নিয়ে তারা কান্ত হয়নি এলোপাতারি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। আল আমিন সরকারকে বাঁচাতে তার বড় ভাই নাসির সরকার এগিয়ে আসলে তাকেও সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর অবস্থায় ফেলে যায়। তাদের ধারনা ছিলো সেও মারা গেছে। ঘটনার সময় মসজিদের নামাজি লোকজন প্রানের ভয় পালিয়ে যায়। তারপর এলাকা বাসি দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল নেওয়ার পর আমার স্বামী আল আমিন সরকারকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। আমার ভাসুর নাসির সরকার মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে। এই হত্যা কান্ডে যারা সরাসরি অংশগ্রহন করে নুরে আলম নূর, মোহাম্মদ আলী, আমজাদ হোসেন, খাজা, আলী হোসেন, মামুন, তানভীর, স্বাধীন, মেহেদী, সুমন, রাসেল, মাহবুব, মাসুদ, ইলিয়াস, স্বপন, শফিকুল ইসলাম, মাহাবুব আলম, কফিন ও সেন্টুসহ আরো অনেকে।
এই ঘটনায় বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে মাহাবুব, আমজাদ, রাসেল, ইলিয়াস, মাসুদ। এই ঘটনায় জড়িত উল্লেখিত ব্যক্তিরা কড়াইল বস্তি এলাকায় মাদক, চিনতাই, অস্ত্র বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িত। আমার স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িতরা মামলা তোলা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রিতা বলেন, তারা আমাকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তা না হলে আমি এবং আমার পরিবারের উপর আবারও হামলা হবে। তাই আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করছি। তিনি গরীবের মা, সন্তান হারা, বাবাহারা মানুষের কষ্ট তিনি বোঝেন। আমি এই হত্যাকারীদের অতি সত্বর আইনের আওতায় এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের দাবি জানাচ্ছি।