ইউক্রেনে ন্যাটোর অস্ত্রাগার ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬ জুন, ২০২২, 11:19 AM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬ জুন, ২০২২, 11:19 AM
ইউক্রেনে ন্যাটোর অস্ত্রাগার ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ সেনারা দেশটির একটি অস্ত্রাগার ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই অস্ত্রাগারটিতে সামরিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের পাঠানো অস্ত্রের মজুদ সংরক্ষিত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বুধবারের বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, আগের দিন মঙ্গলবার ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে একটি অস্ত্রাগার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করেছে রুশ সেনারা। যুদ্ধে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো যে পরিমাণ সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে, তারই একটি অংশ ওই অস্ত্রাগারে সংরক্ষিত ছিল। অস্ত্রাগারে মজুদ বিভিন্ন অস্ত্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তুত করা বেশকিছু দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এম৭৭৭ হাউইটজার ও অন্যান্য বিভিন্ন প্রকার আর্টিলারি অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে।
রয়টার্স অবশ্য রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই ঘোষণার দুদিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।
ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযানে ইতোমধ্যে দেশটির দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম এবং মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে। বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্কের সেভারদনেতস্ক শহরে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে তীব্র সংঘাত চলছে রুশ বাহিনীর।
ইউক্রেনের সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত প্রায় চার মাস ধরে চলা যুদ্ধে নিজেদের গোলাবারুদের মজুত তলানিতে নেমে এসেছে দেশটির। কেবল পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তা এখন যুদ্ধে টিকিয়ে রাখতে পারে ইউক্রেনেকে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অবশ্য ইউক্রেনকে কয়েক দফায় অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনকে আরো ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা।