ইউক্রেন থেকে খাদ্য সরবরাহ চালু করা না গেলে দরিদ্র দেশগুলো দুর্ভিক্ষের মুখে পড়বে : জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ মে, ২০২২, 12:15 PM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ মে, ২০২২, 12:15 PM
ইউক্রেন থেকে খাদ্য সরবরাহ চালু করা না গেলে দরিদ্র দেশগুলো দুর্ভিক্ষের মুখে পড়বে : জাতিসংঘ
ইউক্রেন থেকে খাদ্য সরবরাহ দ্রুত চালু না করা গেলে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়বে দরিদ্র দেশগুলো। এমন শঙ্কা জানিয়েছে জাতিসংঘ। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) জানায়, সংস্থাটির সহায়তা প্রকল্পের ৫০ শতাংশ খাদ্যই আসে ইউক্রেন থেকে। এদিকে, বন্দর বন্ধ থাকায় ইউক্রেনে মজুদ থাকা প্রায় ২৫ মিলিয়ন টন শস্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির কৃষকদের জন্য।
রুশ আগ্রাসনের কারণে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে ইউক্রেন থেকে। দেশটির কৃষকরা বলছেন, ইউক্রেনে এখনো আটকা পড়ে আছে প্রায় ২৫ মিলিয়ন টন শস্য, যা গত বছরের উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ। সরবরাহ না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি এই বিপুল পরিমাণ শস্য সংরক্ষণ করাও এখন দুশ্চিন্তার কারণ কৃষকদের কাছে।
ইউক্রেনীয় কৃষক কিস হেইজেংগিয়া জানান, এই যে বিপুল পরিমাণ শস্য আটকা পড়ে আছে, এটাই এখন আমাদের মাথাব্যথা। আমাদের কারিগরি এবং কৌশলগত সঙ্কট রয়েছে। যুদ্ধের কারণে পণ্য সরবরাহের আর কোনো পথ না থাকায় আমরা বিপাকে পড়েছি।
ইউক্রেনে কর্মরত ডব্লিডউএফপি কর্মকর্তা ম্যাথিউ হলিংওয়ার্থ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যা চলছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, খুব শিগগিরই বিশ্বের নতুন নতুন অঞ্চলে বড় ধরনের খাদ্য সঙ্কট দেখা দেবে।
প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয় ডব্লিডএফপি। এসব খাদ্যের প্রায় ৫০ শতাংশই আসে ইউক্রেন থেকে। আর এসব খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয় ওডেসা বন্দর থেকে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বন্দরটি বন্ধ রয়েছে। ফলে নেই খাদ্য সরবরাহ।
জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রধান ডেভিড বেজলি বলেন, আফগানিস্তান কিংবা ইথিওপিয়ার মতো দেশগুলোর দিকে তাকান। জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করে আছে এসব দেশের লাখ লাখ মানুষ। যদি খাদ্য সরবরাহ এভাবে বন্ধ থাকে তাহলে এসব দেশগুলোর মানুষগুলো না খেয়ে মরবে। এ অবস্থায় বিবদমান পক্ষগুলোর প্রতি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান, ওডেসা কিংবা মারিওপোলের মতো বন্দরগুলো পুনরায় চালু করে দ্রুত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।