ঢাকা ০২ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা, ঢাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমলো আমরা একদলীয় দেশের বাসিন্দা, এখন সময় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের: মাস্ক গাজায় ক্যাফে, স্কুল এবং ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯৫ সন্ধ্যার মধ্যে ছয় অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ইন্টার মিলানের হৃদয় ভেঙে বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু হতে পারে দুই দিনের অচলাবস্থার পর চট্টগ্রাম বন্দর পুরোদমে সচল শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে

উচ্ছ্বাস নেই বাংলাদেশ দলে

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জুলাই, ২০২৩,  11:15 AM

news image

সুরম্য হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বেশিরভাগ ক্রিকেটার বের হননি। প্রাতরাশ সেরে দু-একজন লবিতে এসেছিলেন সেই সকালে। বাকি সময় বলতে গেলে ঘরবন্দি। টিম হোটেলে এমন নির্জনতা অনেক দিন দেখা যায়নি। অথচ ভারত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দিনগুলোতে কী চনমনে পরিবেশই না ছিল। খেলোয়াড়রা ছিলেন প্রাণোচ্ছল। বিসিবি পরিচালক, জাতীয় দল নির্বাচকদের আনাগোনায় মুখর ছিল সর্বত্র। আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারের পর রাতারাতি সেসব উধাও। তার ওপর বিসিবি থেকে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, নির্বাচকদের মিডিয়ায় কথা বলতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কেমন গুমোট একটা পরিবেশ। অবশ্য টিম হোটেলের বাহ্যিক চেহারা দেখে ভেতরটা বিচার করা যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খেলোয়াড়রা স্বাভাবিক আছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। 

লিটন কুমার দাসরা গতকাল বিশ্রামে থাকলেও টি২০ ক্রিকেটারদের অনুশীলন ছিল। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও সহকারী কোচ নিক পোথাসের তত্ত্বাবধানে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন শামীম পাটোয়ারিরা। অবশ্য প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে এদিন বেশি ব্যস্ত ছিলেন মিটিংয়ে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং করেছেন কোচ, যেখানে টানা দুই ম্যাচ হারের ব্যবচ্ছেদ হয়েছে। এটা হওয়ারই কথা। আফগানিস্তানের সঙ্গে গত দুই ম্যাচে খুবই বাজে ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে ছিল ব্যাটিং-বোলিং পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ব্যাটিং পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে ৪৩ ওভারে ১৬৯ করতে পেরেছে। তাওহিদ হৃদয় আর মুশফিকুর রহিম আলাদা আলাদা ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। যদিও এ রান দলের কোনো কাজে আসেনি। বিশেষ করে সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৩২ রান তাড়া করতে নেমে ১৮৯ রানে গুটিয়ে যাওয়া সুখকর কিছু ছিল না। যদিও ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছেন, একটি সিরিজ হেরে যাওয়ার অর্থ বাংলাদেশ খারাপ দল হয়ে যায়নি। বরং এই সিরিজের অভিজ্ঞতা থেকে নিজেদের ভুলগুলো শুধরে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন তারা।

আফগানিস্তান সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো দল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের চেয়েও ভালো বোলিং লাইনআপ তাদের। বিশ্বমানের তিনজন স্পিনার আছে দলটির। বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকিও দারুণ করছেন। সিরিজ শুরুর আগে থেকেই যেটা চাপে ফেলে দেয় স্বাগতিক ব্যাটারদের। মিরপুরে রেকর্ড রানে টেস্ট জয় আর বিশ্বকাপ সুপার লিগ তৃতীয় স্থানে শেষ করার আত্মতৃপ্তিও প্রভাব ফেলে থাকতে পারে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে। তাই যদি না হবে টানা ভালো খেলতে থাকা দলের এমন লেজেগোবরে অবস্থা হবে কেন? কিছুটা বাইরের ঘটনাও প্রভাব ফেলেছে দলের ওপর। লিটনদের হৃত আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হলে শেষ ম্যাচটি জিততে হবে। নাঈম শেখ, আফিফ হোসেনদের রান করতে হবে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে। অন্যথায় কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সৌম্য সরকার, জাকির হাসানদের সুযোগ করে দিতে দ্বিধা করবেন না। সে যাই হোক, ঘটনাবহুল এই সিরিজে দারুণ সময় পার করছেন আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা। কারণ, গত দুই ম্যাচে স্বাভাবিকের চেয়েও ভালো ক্রিকেট খেলেছেন তারা। তাই সিরিজ জয়ের পর স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য তাদের। সত্যিই এ মুহূর্তে একটি সুখী পরিবার তারা। সেটা বোঝা যায় চট্টগ্রামে তাদের ঘোরাফেরা এবং কেনাকাটা করতে দেখে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির