ঋণ পুনঃতফসিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ আগস্ট, ২০২২, 12:25 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ আগস্ট, ২০২২, 12:25 PM
ঋণ পুনঃতফসিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
ঋণ পুনঃতফসিল করার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় পুনঃতফসিল করা কোনো ঋণ ৬ মাস অনাদায়ী থাকলে তা সরাসরি মন্দ ঋণ মানে শ্রেণিকরণ করতে বলা হয়েছে। আগে ছাড় দিয়ে জারি করা ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন নীতিমালায় কিছুটা সংশোধনী এনেছে নতুন নির্দেশনায়। ড়তকাল বুধবার (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠনের নির্দেশনা স্পষ্টীকরণ এবং পরিমার্জন করে নতুন এই নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুনঃতফসিল করা ঋণ হিসাবের বিপরীতে স্থগিত সুদ হিসাবে রক্ষিত এবং পুনঃতফসিলের পর আরোপিত সুদ প্রকৃত আদায় ছাড়া ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণ ৩য় ও ৪র্থ বার পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে প্রকৃত আদায় না করে সংরক্ষিত প্রভিশন ব্যাংকের আয় খাতে নেওয়া যাবে না। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল ঋণ পুনঃতফসিলের সব শর্ত পরিপালন হয়েছে কিনা যাচাই করবে। যাচাই শেষে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হবে তা চূড়ান্ত হবে।
পুনঃতফসিল পরবর্তী আসল এবং সুদ মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সম কিস্তিতে আদায় করতে হবে। ৬টি মাসিক বা ২টি ত্রৈমাসিক কিস্তি অনাদায়ী হলে পুনঃতফসিল করা ঋণ সরাসরি ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকরণ করতে হবে। আর প্রকৃত আদায় ছাড়া পুনঃতফসিল করা ঋণের সুদ আয় খাতে নেওয়া যাবে না। সব ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পুনঃতফসিল করা কোনো ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে খেলাপি করলে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা নির্বাহী কমিটি থেকে পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির লক্ষ্যে ঋণপত্র খোলা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট কোন তলবি ঋণ পুনঃতফসিলযোগ্য হবে না।
এর আগে নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে খেলাপি ঋণ কমাতে ঋণ পুনঃতফসিলে বড় ধরনের ছাড় দিয়ে গত ১৮ জুলাই নিদের্শনা দেওয়া হয়।
আগের নির্দেশনায় ঋণ পুনঃতফসিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এখতিয়ারের বদলে তা শুধু ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটিকে ক্ষমতা দেয়া ছিল। এবার সেই সিদ্ধান্ত বদলে সেই ক্ষমতা ব্যাংকারদের দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।