এক বছরে ১০ শতাংশের বেশি কমেছে টাকার মান
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 12:13 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 12:13 PM
এক বছরে ১০ শতাংশের বেশি কমেছে টাকার মান
ডলারের দরের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানোই যাচ্ছে না। আন্তঃব্যাংক লেনদেনে আবারও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কিন ডলারের দাম আরও এক টাকা বাড়িয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য হবে ৯৬ টাকা। রোববারও (১১ সেপ্টেম্বর) এ দাম ছিল ৯৫ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতি ডলারের বিপরীতে বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে টাকার মূল্য ১১ শতাংশ কমেছে।
আমদানি মূল্য বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে মার্কিন ডলারের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। রফতানি আয়ের তুলনায় আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে আছে। আর চলতি বছরের শুরুর তুলনায় প্রতি ডলারে বাড়ল ১০ টাকা ২০ পয়সা।
এদিকে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা হিসেবে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) সংগ্রহ করবে। আর রফতানি বিল ভাঙাবে সর্বোচ্চ ৯৯ টাকায় বলে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকও আন্তব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে আজ ৯৬ টাকা দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে এ ডলার বিক্রি করা হয়। ফলে এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল করতে আমদানি ব্যয় কমানোর বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ মজুদ আছে তা দিয়ে সাড়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে)।