ঢাকা ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
কুসুমের নতুন রূপ নজর কাড়ল ভক্তদের বিমান হামলায় হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা নিহত, দাবি ইসরায়েলের বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ আইসিইউ থেকে নুরকে নেওয়া হতে পারে কেবিনে রাকসু কার্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ, চেয়ার-টেবিল ভেঙে দিল রাবি ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনে এস এম ফরহাদের জিএস প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট ট্রাম্পের ইচ্ছায় বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম একাদশে ভর্তিতে শেষ ধাপে আবেদন শুরু, সময় দুদিন চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় সব পরীক্ষা স্থগিত বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বিকেলে

কিছু চীনা পণ্যে সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ এপ্রিল, ২০২৫,  12:53 PM

news image

চীন থেকে আমদানি করা কিছু পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে এখন সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বাড়তি এই শুল্কারোপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।

ইলেকট্রিক যানবাহন এবং সিরিঞ্জ বা ইনজেকশন সিরিঞ্জের মতো পণ্যে বাড়তি এই শুল্ক প্রযোজ্য হবে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে আমদানি করা কিছু পণ্যের ওপর এখন সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বলে স্থানীয় সময় বুধবার নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি তথ্যপত্রে বলা হয়, চীনা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৪৫% শুল্ক আরোপের সম্মুখীন হতে হবে, যা পূর্বে রিপোর্ট করা ১৪৫% সর্বোচ্চ সীমার চেয়ে অনেক বেশি।

এই হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত ১২৫ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক, তার সঙ্গে ফেন্টানিল সম্পর্কিত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক এবং “সেকশন ৩০১” আওতাধীন বাড়তি শুল্ক মিলিয়ে সর্বমোট শুল্কহার ২৪৫ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, ইলেকট্রিক যানবাহন (ইভি) এবং সিরিঞ্জ বা ইনজেকশন সিরিঞ্জের ওপর ১০০ শতাংশ “সেকশন ৩০১” শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এগুলোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক ও ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক শুল্ক যোগ করে মোট শুল্ক দাঁড়ায় প্রায় ২৪৫ শতাংশে।

সেকশন ৩০১ শুল্কগুলো মূলত চীনের তথাকথিত “অন্যায্য বাণিজ্য নীতির” বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ধারার আওতায় পণ্যের ওপর ৭.৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা যায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাণিজ্য আলোচনার জন্য এখন চীনের এগিয়ে আসা উচিত, যুক্তরাষ্ট্রের নয়। তার ভাষায়, “চীনের কোর্টেই এখন বল। তাদেরই আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। আমাদের চীনকে কিছু দিতে হবে না।”

ট্রাম্পের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট তার পক্ষ থেকে এই বিবৃতি পড়ে শোনান। এতে আরও বলা হয়, “চীন আর অন্য দেশের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই, শুধু তারা আকারে বড় এবং আমাদের যা আছে—তা চায়।”

ট্রাম্প আরও জানান, বুধবার জাপান থেকে একটি প্রতিনিধিদল হোয়াইট হাউসে আসছে। আলোচনায় থাকবে শুল্কনীতি, জাপানের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং বাণিজ্য ন্যায্যতা।

তিনি বলেন, “আমি নিজে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকব, ট্রেজারি এবং বাণিজ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। আশা করছি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র—উভয়ের জন্যই ভালো কিছু হবে।”

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির