কৃতী ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক আউয়াল
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ মার্চ, ২০২৩, 6:15 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ মার্চ, ২০২৩, 6:15 PM
কৃতী ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক আউয়াল
রায়হান উদ্দীন মানিক
গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক লেখক ও গবেষক আউয়াল চৌধুরী। সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য দুবাইয়ের ব্রিস্টল হোটেলে ১৮ মার্চ তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। সেখানে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট। এই সামিটে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিরা উপস্থিত হবেন। সামিট চলবে ১৭ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পযর্ন্ত।
আউয়াল চৌধুরী এর আগে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য 'সংশপ্তক-২০২২' অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় শেরে বাংলা একে ফললুল হক গবেষণা পরিষদ তাকে 'শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড' ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ 'অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা'য় অবদানের জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।
আউয়াল চৌধুরী একজন সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গবেষক ও সংগঠক। প্রায় দুই দশক ধরে তিনি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন লেখালেখি। এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার লেখা উপন্যাস 'আফসানা'। বইটি পাঠকদের নজর কাটতে সক্ষম হয়। সমাজে ধর্ষীত এক নারীকে নিয়ে তার এ উপন্যাস। যে ধর্ষণের শিকার হয়ে অনাকাঙ্খিত সন্তানের জন্ম দেয়। মূলত একজন নারীর একাকী লড়াইয়ের গল্প উঠে আসে। সামনে তার আরেকটি উপন্যাস ও আত্মউন্নয়নমূলক একটি বই বের করার প্রস্তুতি চলছে।
ছোটবেলা থেকেই আউয়াল চৌধুরীর লেখালেখির চর্চা শুরু হয়। ফেনী সরকারি কলেজে পড়াকালিন সময়ে কলেজের সাহিত্য ম্যাগাজিনে সহ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় দৈনিক হাজারিকা পত্রিকার সঙ্গে থেকে লেখালেখির কাজটি পুরোদমে চালিয়ে যান। এরপর ঢাকায় এসে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাংবাদিকতায় বড় পরিসরে কাজ শুরু করেন। এরপর নানা মাধ্যমে কাজ করে তিনি। এখন একুশে টেলিভিশনে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন।
শুধু লেখালেখি নয় সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে 'ল্যাম্প বাংলাদেশ' নামে সামাজিক সংগঠন তৈরি করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এতিম, অসহায় নারী ও পথশিশুদের নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে কাজ করছে সংগঠনটি। তিনি এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৯ সালে সমাজকে আলোকিত করার মানসে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় নিজ গ্রাম কাশীপুরে তিনি 'চৌধুরী সমাজ কল্যাণ পাঠাগার' প্রতিষ্ঠা করে সমাজে নতুন অনুরণন তৈরি করেন।
ফলে সমাজে নানামুখী কাজ করতে গিয়ে সমাজের উচ্চবিত্ত জীবন থেকে শুরু করে নিম্ন বিত্তের জীবন ধারাকে দেখার, জানার ও বুঝার সুযোগ পেয়েছেন। তাই তার লেখালেখিতে প্রান্তিক মানুষের জীবন বোধের গল্প উঠে আসে।
আউয়াল চৌধুরী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে পরিবেশ ও বজ্রপাতের ক্ষতি নিয়ে, প্রান্তিক কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে গবেষণামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন।