খুলনার সোনাডাঙ্গায় বলাৎকারের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ মে, ২০২৩, 11:51 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ মে, ২০২৩, 11:51 AM
খুলনার সোনাডাঙ্গায় বলাৎকারের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক আটক
খুলনার সোনাডাঙ্গায় ওমর ফারুক শিশু সদন মাদ্রাসায় বলাৎকারের ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষককে এলাকাবাসী থানায় সোপর্দ করেছে। আটককৃত মাদ্রাসার শিক্ষকের দ্বারা এ ধরনের ঘটনায় ভক্তোভূগি আরো একাধিক শিশু। ভূক্তভূগিরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় প্রতিবেদনে তাদের নাম উল্লেখ করা হলো না। গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসার শিক্ষকের নাম আমজাদ হোসেন মাশরুফ (বয়স: ৩৫)। তার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায়। এই আমজাদ ওমর ফারুক শিশু সদন মাদ্রাসায় আরবি পড়াতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে শিশুদের বলাৎকার করেছেন এবং ভয়ভীতি দিয়েছেন। ভূক্তোভূগি আকাশ (ছদ্ম নাম) সোমবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সহপাঠীদের কাছে ঘটনাটি বললে তখন এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। তারপরও আমজাদ হোসেন ভয়ভীতি দেখায়। আকাশের (ছদ্ম নাম) গ্রামে বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবা ঘটনা জেনে খুলনায় চলে আসেন। আসার পর তিনি থানায় অভিযোগ গাখিল করেন। ভূক্তোভূগি আকাশের (ছদ্ম নাম) বাবা একজন কৃষক। এ ঘটনায় মাদ্রাসার আরো কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী বলে, তাদের শিক্ষক আমজাদ হোসেন মাশরুফ প্রায়ই তাদের সাথে এধরনের অনৈতিক কাজ করে। তারা ভয়তে কিছু বলে না। মারধরও করেছে বিভিন্ন সময়ে। আর এক ভূক্তোভূগি আদি (ছদ্ম নাম),বয়স:১৫। তার গ্রামের বাড়ি মোংলা। আমজাদ হোসেন মাশরুফের বাড়ির পাশেই। আদি জানায়, তার সাথে জোড়পূর্বক আমজাদ হোসেন মাশরুফ কয়েকবার বলাৎকার করেছেন। মারধরও করেছেন। মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যেতে চাইলে নানান ধরনের ভয়ভীতি দিতো এই শিক্ষক বলে জানা যায়। সোনাডাঙ্গায় ওমর ফারুক শিশু সদন মাদ্রাসা কমিটির সেক্রেটারি শওকাত হোসেন বলেন, আমি দুই-তিনদিন যাবৎ অসুস্থ। ঘটনাটি শুনেছি। সকল তথ্য যাচাই করে শিক্ষক আমজাদ হোসেন মাশরুফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাটি আগে জানা গেলে কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া যেতো বলে তিনি জানান। সোনাডাঙ্গা থানা থেকে জানা যায়, বলাৎকারের অভিযোগের বিষয়টি ভূক্তোভূগি পরিবারের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে। ভূক্তোভূগি আকাশের (ছদ্ম নাম) বাবা জানান, আমি গরীব মানুষ। থানায় অভিযোগ করেছি। আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি চাই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিচার হোক।