ঢাকা ০১ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা, ঢাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমলো আমরা একদলীয় দেশের বাসিন্দা, এখন সময় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের: মাস্ক গাজায় ক্যাফে, স্কুল এবং ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯৫ সন্ধ্যার মধ্যে ছয় অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ইন্টার মিলানের হৃদয় ভেঙে বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু হতে পারে দুই দিনের অচলাবস্থার পর চট্টগ্রাম বন্দর পুরোদমে সচল শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ

গাজায় ক্যাফে, স্কুল এবং ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯৫

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০১ জুলাই, ২০২৫,  11:45 AM

news image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের একটি ক্যাফে, স্কুল ও ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রসহ একাধিক স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

গাজা শহর ও উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়, যার মধ্যে শুধু আল-বাকা নামে এক সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেতেই নিহত হন ৩৯ জন। সোমবার (৩০ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে,আল-বাকা নামে উত্তর গাজার ওই সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেটিতে নারী ও শিশুসহ অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন একটি জন্মদিন উদযাপন করতে। সেখানে হওয়া হামলায় নিহতদের মধ্যে ইসমাইল আবু হাতাব নামে এক সাংবাদিকও রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই সেখানে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়।

ইয়াহিয়া শরিফ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। এই জায়গার কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না। শিশুদের জন্মদিন চলছিল এখানে।”

এদিকে গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপরও হামলা চালানো হয়। হামাদা আবু জারাদে নামের একজন জানান, তারা হামলার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে সরে যাওয়ার নোটিশ পান। তিনি বলেন, “আমরা কোথায় যাবো বুঝতে পারছি না। গত ৬৩০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আমরা কোনো সাহায্য পাইনি। প্রতিদিন মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছি।”

এছাড়া মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল চত্বরে চালানো আরেক হামলায় আহত হন আরও অনেকে। সেখানে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। হামলার সময় আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে বিশৃঙ্খলা। অনেকেই দৌঁড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম বলেন, “এই হাসপাতালে এর আগেও অন্তত ১০ বার হামলা হয়েছে। প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর আরেকটি মারাত্মক আঘাত হচ্ছে এই হামলা।”

আল জাজিরা বলছে, ত্রাণের আশায় দাঁড়ানো মানুষকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাবারের জন্য অপেক্ষারত মানুষের ওপর চালানো হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন এবং ৫০ জন আহত হন।

ইসরায়েলের এই হামলার শিকার অধিকাংশই ছিলেন ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়ানো সাধারণ ফিলিস্তিনি। জিএইচএফ গত মে মাসের শেষ দিকে সীমিত পরিসরে গাজায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করার পর থেকে এসব কেন্দ্রে প্রায় প্রতিদিনই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত এসব হামলায় অন্তত ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৪ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজ-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাদের সরাসরি নিরস্ত্র ত্রাণপ্রার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে বলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সেনা জানিয়েছেন, অনেক সময় কোনো হুমকি না থাকলেও ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও সহিংসতার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, “আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের ভেতরেই শরণার্থীদের জন্য স্থাপিত একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। আর এটি রোগী ও আশ্রয়প্রার্থীদের জীবনকে চরম ঝুঁকিতে ফেলেছে। এটি গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর পদ্ধতিগত ও পরিকল্পিত হামলার অংশ।”

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির