চট্টগ্রামে প্রতিবন্ধীর দোকানে চাঁদাবাজদের হামলা, উচ্ছেদ প্রাণনাশের হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ আগস্ট, ২০২৫, 12:54 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ আগস্ট, ২০২৫, 12:54 PM

চট্টগ্রামে প্রতিবন্ধীর দোকানে চাঁদাবাজদের হামলা, উচ্ছেদ প্রাণনাশের হুমকি
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামের বুড়িপুকুর পাড় এলাকায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দখলীয় সত্বাধীকারী মালিকানা জায়গায় চলছে দখল বাণিজ্য। চাঁদা না দেওয়ায় এক প্রতিবন্ধী সন্তানসহ পরিবারের উপর হামলা, দোকান ভাঙচুর ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার প্রতিবেশী সঙ্গবদ্ধ একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে।
৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম কোর্টে একটি ফৌজদারি মামলা (সি.আর. মামলা নম্বর- ৯০৫/২৫ইং ) দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকারীরা হলেন, একই এলাকার
১। মোঃ পারভেজ (৩০),২। মো: ইয়াকুব মেম্বার
৩ । মোঃ দিদারুল আলম চৌধুরী (৩৫), ৪। মোঃ মোজাহেরুল হক প্রঃ মোজাইয়া (২৮), ৫। মো আল আমিন (২২), ৬। মোঃ জুয়েল (২৫), সর্বসাং- চারিয়া, ৭। মোঃ করিম (৩৫), মির্জাপুর নিবাসি পন্ডিত বাড়ী। ৮। মোঃ মুজিব (৪৫), গুমানমর্দ্দন, ০৯ নং ওয়ার্ড, অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।
ভুক্তভোগী জেসমিন আক্তার ও তার প্রতিবন্ধী ছেলে মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, শাহজাহান নামের এক ব্যক্তির দখলকৃত দোকান গৃহ মাসিক ভাড়ায় নিয়ে তারা একটি চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। কিছুদিন পর স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী তাদের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্নভাবে দোকানে পানি ঢেলে, হুমকি দিয়ে এবং বাধা সৃষ্টি করে ব্যবসা চালানো কঠিন করে তোলে।
এরপর, গত ৩ জুলাই রাতে একদল অস্ত্রধারী হামলা চালিয়ে দোকান উচ্ছেদ করে, দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে প্রায় ১,৫০,০০০ টাকা ক্ষতি সাধন করে এবং দোকানের ক্যাশে থাকা ৭,৫০০ টাকা লুট করে নেয়। অভিযুক্তরা মা-ছেলেকে গালাগাল করে, মারধরের চেষ্টা চালায় এবং দোকান থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়। দোকান না ছাড়লে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা হাটহাজারী মডেল থানা, র্যাব ও আর্মি ক্যাম্পে সহযোগিতা চাইলেও কেউ সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মোড়ল মাতব্বর ও এলাকাবাসীও মুখ না খুলে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। প্রশাসনের ছত্রছায়া এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কেউই সত্য ঘটনা প্রকাশ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
উক্ত বিষয়ে দোকান মালিক শাজাহান বলেন, ঘটনাটি শতভাগ সত্য। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে দোকানদারি করতো। এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা দোকানটি চাঁদা না দেওয়ার কারণে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে।ওই দোকানদারের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমরা কেউ মুখ খুলতে রাজি নই। আমাকে উক্ত বিষয়ে সত্য প্রকাশ করলে অভিযোগ করলে উল্টোমিথ্যা মামলা হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় এই ধরনের ঘটনা নিত্য নতুন ভাবে প্রতিনিয়তই ঘটছে। দেখার কেউ নেই। আমরা সাধারণ মানুষ নিরুপায় অসহায়। আমরা কোন রাজনীতি করিনা।
প্রতিবন্ধী অসহায় নিরুপায় ভুক্তভোগী পরিবার আরো বলেন, বিচারের জন্য সমাজের মোড়ল মাতাব্বর গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধির দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার না পেয়ে। কোথাও কোন সহায়তা সারা না পেয়ে আদালতে অভিযোগ করেছেন। শেষ ঠিকানা একমাত্র আল্লাহ ভরসা বলে জানিয়েছেন।
বিবাদী অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে ইয়াকুব মেম্বার বলেন, এখানে কোন চায়ের দোকান ছিল না। একটা পান সিগারেটের সুকেস ছিল। তারা নিজেদের সুকেস নিজেরা নিয়ে চলে গেছে। অভিযোগকারীরা অভিযোগ সত্য নয়।
ঘটনার বিষয়ে পারভেজ বলেন, আমি এলাকার সম্মানিত আলিফ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর রাজনৈতিক পদমর্যাদা এলাকায় সুনাম রয়েছে। উক্ত বিষয়ে আমার কাছে জানতে চাওয়াটা আমার জন্য লজ্জাকর ও মর্যাদাহানি।বিব্রতবোধ করছি।
ভুক্তভোগী ৪ সন্তানের প্রতিবন্ধী পরিবার উচ্ছেদকৃত দোকান ফেরত ক্ষতিপূরণসহ সহ প্রশাসনের প্রতি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।