চন্দনাইশে কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জুন, ২০২৩, 11:37 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জুন, ২০২৩, 11:37 AM
চন্দনাইশে কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা
দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম ঈদুল আযহা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই অনুষ্টিত হবে কুরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে টুং টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা এলাকার কামার শিল্পের কারিগররা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কামাররা কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী। তবে এসব তৈরিতে এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। ফলে পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ। মাংস কাটা ও কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি,দা,চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়। তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে চন্দনাইশ পৌরসভা,গাছবাড়িয়া খাঁনহাট,দোহাজারী পৌরসভা,রৌশনহাট বাজার,বৈলতলী,বরমার এলাকার কামার শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছে এই সব যন্ত্র তৈরীতে। দগদগে আগুনে গরম লোহা পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে চন্দনাইশের এইসব কামার পল্লীগুলো। ঈদের আগেই পশু জবাই করার এইসব যন্ত্র ছুরি,চামড়া ছাড়ানোর ছুরি,চাপাতি,প্লস্টিক ম্যাট,চাটাই,গাছের গুঁড়িসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখতে হয়। এসব ধারালো সামগ্রী মধ্যে ওজন ও প্রকারভেদে দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। দা প্রতিটি ৩০০-৬০০ টাকা। ছুরি আকার ভেদে ৫০- ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এব্যপারে খানহাট বাজারের কুমার শিল্পি সজিব জানান,এ পেশায় অধিক শ্রম দিতে হয়। জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু বাপ-দাদার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ পেশাটিকে সে এখনও আঁকড়ে ধরে আছেন। তিনি আরো জানান অন্যান্য সময় এসবের চাহিদা কম থাকলেও কুরবানির পশুর জন্য বেশি প্রয়োজন হওয়ায় এখন মানুষ ছুটছেন কামারদের কাছে। আর এতেই এক মাসে পেশাটি জমজমাট হয়ে উঠে। তবে এসব সামগ্রী তৈরির উপকরণ কয়লা ও লোহার দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ কমে গেছে। চন্দনাইশ বাজারের কামার রবি সংকর জানান,কুরবানির পশু জবেহ করা,মাংস কাটা, চামড়া ছিলানোর জন্য ধারাল ছুরির প্রয়োজন। ঘরে থাকা দা,বঁটি,ছুরিতে মরিচা থাকায় শানয়ের জন্য নিয়ে আসে এইসব যন্ত্র। মুটামুটি মুসলমানদেন ধর্মীয় উৎসব কুরবান আসলেই এই পেশার কদর বাড়ে।