ঠান্ডা ও শীতকালীন ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫ জনের মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২১ জানুয়ারি, ২০২৪, 11:53 AM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২১ জানুয়ারি, ২০২৪, 11:53 AM
ঠান্ডা ও শীতকালীন ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫ জনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে স্মরণকালের তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। যা গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে এবং এ সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত চলতে থাকবে। কানাডার মধ্যপশ্চিমাঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসছে হীমশীতল ঠান্ডা বাতাস।
গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া অসহনীয় এ ঠান্ডা ও শীতকালীন ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মেম্ফিসের টেনেসির বাসিন্দাদের পানি ফুটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে, চলমান এ ঠান্ডার মধ্যে সেখানকার রাস্তাঘাট ঝুঁকিপূর্ণ কালো বরফে ঢেকে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা নিউইয়র্ক সিটিতে যে পরিমাণ তুষারপাতের ধারণা করেছিলেন, সেখানে শুক্রবার তার চেয়েও বেশি তুষারপাত হয়েছে। অপরদিকে তীব্র শীতকালীন ঝড় আঘাত হেনেছে প্রশান্ত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যপশ্চিমাঞ্চল, সমভূমি, দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এরসঙ্গে সেখানে যোগ হয়েছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, প্রচণ্ড তুষারপাত, বরফ ঝড়, ফ্রিজিং রেইন এবং তীব্র বাতাস। যা গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছে।
আগামী সপ্তাহের আগে এ পরিস্থিতি কাটার কোনো সম্ভাবনা নেই।গত এক সপ্তাহে যে ৫৫ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ হাইপোথার্মিয়া এবং সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
শীতকালীন এমন বিরূপ আবহাওয়ায় শুধুমাত্র টিনাসে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এক যুবক। যাকে একটি অস্থায়ী বাড়ির মেঝেতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার বাড়ির স্পেস হিটারটি উল্টে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হয় তার।
তীব্র ঠান্ডার কারণে মেম্ফিসের পানির অনেক পাইপ ভেঙে গেছে। যার কারণে সেখানে পানির চাপ পড়েছে। শুক্রবার লাইট, গ্যাস ও পানি কর্তৃপক্ষ তাদের ৪ লাখ গ্রাহকের সবাইকে পানি ফুটিয়ে পান করার আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি দাঁত ব্রাশের জন্য ফোটানো পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। যদি পানি ফোটানো সম্ভব না হয় তাহলে বোতলজাত পানি ব্যবহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব জনজীবনে এতটাই বেশি পড়েছে যে, এখন মানুষ রক্তদান করতেও যাচ্ছেন না।
আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অফিসের সময়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান