ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জুন, ২০২২, 11:36 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জুন, ২০২২, 11:36 AM
ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত
শান্তিতে নোবেল জয়ী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে দুই মাস স্থগিত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) আগের আদেশ সংশোধন করে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৭ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
গত ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করে আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এরমধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলাটি করা হয়।