সংবাদ শিরোনাম
তিব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় হেড লাইট জালিয়ে পরিবহন ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, 11:19 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২২, 11:19 AM
তিব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় হেড লাইট জালিয়ে পরিবহন ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া কয়েকদিন যাবৎ শীত শীত অনুভুতি হলেও তেমন কুয়াশা দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু হঠাৎ ২দিন থেকে ঘন কুয়াশায় ও শীতের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে জনজীবন অনেকটা থমকে গেছে। এতে সবথেকে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষেরা।
সন্ধ্যায় পর থেকেই কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় রাতে শীতের মাত্রা বেড়ে যায়। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা অন্ধকারে পরিণত হচ্ছে। কয়েক হাত দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না। তাই রাত যত গভীর হয় শীতের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পায়। ঘন কুয়াশার ভোর বেলা লাল আভা নিয়ে ভেসে উঠা সূর্য যেন মুখ মেলে তাকাতে পারছে না।
সকাল থেকে হঠাৎ করে ঘনো কুয়াশায় ডেকে যায় এবং তাপমাত্রা নেমে আসে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার দুপুরের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা বাড়তে থাকে এবং তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করে। কুয়াশা এতো বেশী যে যানবাহন গুলো সড়কে দিনের বেলাই হেড লাইট জালিয়ে চলাচল করছে।
ভোর বেলা খেটে খাওয়া মানুষেরা জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। হঠাৎ এই শীতে সাধারণ মানুষ যেন আটসাট হয়ে পড়েছে।
শীত নিবারণের জন্য লেপ তোষকের দোকানে ভিড় করছে মানুষ। কৃষকেরা চেষ্টা করছে তাদের গরু-ছাগলকে চটের তৈরী জামা দিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে। শীত বাড়ার সাথে পিঠার কদর বেড়ে গেছে। সকাল সন্ধা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাপা-চিতইসহ হরেক রকম পিঠার দোকান নিয়ে বসছে নারী ও পুরুষেরা।
এসময় উনুনের তাপ নেয়ার পাশাপাশি পিঠাও খাচ্ছেন তারা ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার সাথে সাথে হিমেল হওয়া যেন শীতের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করে,কুয়াশা ও শিশির কণা শীতকে আরো স্থায়ী করে রাখছে। সকালে থেকে সারাদিন মোটা কাপড় পরে থাকতে হচ্ছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এতে করে তারা শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে গৃহপালিত পশু লালন পালনে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শীত। স্থানীয় প্রবীন ব্যাক্তিরা বলেন,দুদিন ধরে সারাদিন সূর্য আলো কিছুটা থাকলেও সন্ধ্যা হলেই বাড়ে ঘন কুয়াশা । তাই শীতের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। শীতের কারণে হাত পা কনকন করছে। আমাদের মতো বয়স্কদের সমস্যা একটু বেশি। ফজরের সময় চারদিক কুয়াশায় ঢাকা ছিল।
সম্পর্কিত