দাম বাড়ছে প্যারাসিটামলসহ ৫৩ ওষুধের
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জুলাই, ২০২২, 11:43 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জুলাই, ২০২২, 11:43 AM
দাম বাড়ছে প্যারাসিটামলসহ ৫৩ ওষুধের
প্রাথমিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। এর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ কয়েকটি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় থাকা ওষুধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্যারাসিটামল। নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্যারাসিটামলের ৫০০ এমজির প্রতিটি ট্যাবলেট ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে এক টাকা ২০ পয়সা। এছাড়া কিছু ওষুধের দাম বেড়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ আগের চেয়ে দ্বিগুণ দামে কিনতে হবে এসব ওষুধ।
গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটির ৫৮তম সভায় এসব ওষুধের পুনর্নির্ধারিত দাম অনুমোদন করা হয় বলে জানা গেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি অধিদফতর।
মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল, এক্সিপিয়েন্ট, প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল, পরিবহন ও ডিস্ট্রিবিউশন ব্যয় বৃদ্ধিসহ ডলারের বিনিময়মূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি প্রভৃতি।
দাম বাড়ার তালিকায় থাকা ওষুধগুলো হলো- প্যারাসিটামল ৫০০ এমজি ট্যাবলেটের (র্যাপিড), প্যারাসিটামল ৬৫০ এমজি ট্যাবলেটের (এক্সআর), প্যারাসিটামল ১০০০ এমজি ট্যাবলেট, প্যারাসিটামল ৮০ এমজি ড্রপস, প্যারাসিটামল ৮০ এমজি ড্রপস, প্যারাসিটামল ১২০ এমজি/ ৫ এমএল সাসপেনশন (৬০ এমএল) বোতল, প্যারাসিটামল ১২০ এমজি/ ৫ এমএল সাসপেনশন ১০০ এমএল বোতল, প্যারাসিটামল ১২০ এমজি/ ৫ এমএল সিরাপ (৬০ এমএল) বোতল, প্যারাসিটামল ১২০ এমজি/ ৫ এমএল সিরাপ (১০০ এমএল) বোতল, মেট্রোনিডাজল ২০০ এমজি ট্যাবলেট, মেট্রোনিডাজল ২৫০ এমজি ট্যাবলেট কোটেড, মেট্রোনিডাজল ৪০০ এমজি ট্যাবলেট কোটেড, মেট্রোনিডাজল ৫০০ এমজি ট্যাবলেট কোটেড।
এ তালিকায় আরো রয়েছে- মেট্রোনিডাজল ২০০ এমজি/ ৫এমএল সাসপেনশন ৬০ এমএল বোতল, মেট্রোনিডাজল ২০০এমজি/ ৫ এমএল সাসপেনশন ১০০ এমএল বোতল, মেট্রোনিডাজল ৫০০এমজি/ ১০০ এমএল ইনফিউশন ১০০ এমএল বোতল, এমোক্সিসিলিন বিপি ১২৫ এমজি/ ১.২৫ এমএল সাসপেনশন ১৫ মিলি বোতল, এমোক্সিসিলিন বিপি ১২৫ এমজি/ ৫ এমএল সাসপেনশন ১০০ মিলি বোতল, এমোক্সিসিলিন বিপি ২৫০ এমজি/ ৫ এমএল সাসপেনশন-ডিএস ১৫ মিলি বোতল, এমোক্সিসিলিন বিপি ২৫০ এমজি ক্যাপসুল, এমোক্সিসিলিন বিপি ৫০০ এমজি ক্যাপসুল, এমোক্সিসিলিন বিপি ৫০০ এমজি ইনজেকশন, জাইলোমেট্রোজালিন এইচসিআই ০.০৫% নাসাল ড্রপ ১৫ এমএল, জাইলোমেট্রোজালিন এইচসিআই ০.১% নাসাল ড্রপ ১৫ এমএল, প্রোকলেপেরাজিন ৫ এমজি ট্যাবলেট।
দাম বৃদ্ধির তালিকায় আরো রয়েছে- প্রোকলেপেরাজিন ১২.৫ এমজি ইনজেকশন, ডায়াজেপাম ১০এমজি/ ২ এমএল ইনজেকশন, মিথাইলডোপা ২৫০ এমজি ট্যাবলেট, মিথাইলডোপা ৫০০ এমজি ট্যাবলেট, ফ্রুসেমাইড ২০ এমজি/ ২ এমএল ইনজেকশন, ফ্রুসেমাইড ৪০ এমজি ট্যাবলেট, ফেনোবারাবিটাল ৩০ এমজি ট্যাবলেট, ফেনোবারাবিটাল ৬০ এমজি ট্যাবলেট, ফেনোবারাবিটাল ৫০ এমএল এলিক্সির ২০ এমজি ৫ এমএল বোতল, ফেনোবারাবিটাল ১০০ এমএল এলিক্সির ২০ এমজি/ ৫ এমএল বোতল, ওআরএস ৫০০ এমএল স্যাটেস, ওআরএস ফ্রুটি ২৫০ এমএল স্যাটেস, লিডোকেইন ১% ডব্লিউভি ২০ এমজি/ ২ এমএল ইনজেকশন, লিডোকেইন ১% ডব্লিউভি ৫০ এমএল ইনজেকশন, লিডোকেইন ২% ডব্লিউভি ৫০ এমএল ইনজেকশন।
অন্যগুলো হলো- ফলিক এডিস ০.০৫ এমজি/ ১০০ এমএল ওরাল সলিউশন (১০০ এমএল বোতল), ক্লোরফেনিরামিন ২এমজি/ ৫ এমএল সিরাপ (৬০ এমএল বোতল), বেনজাথিন বেনজিলপেনিসিলিন ১২ লাখ ইউনিট/ভায়ল ইনজেকশন, অ্যাসপিরিন ৭৫ এমজি ট্যাবলেট, অ্যাসপিরিন ৩০০ এমজি ট্যাবলেট, ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন ২৫০ এমজি ট্যাবলেট, ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন ৫০০ এমজি ট্যাবলেট, ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন ২৫০ এমজি/ ৫ এমএল সিরাপ (৫০ এমএল বোতল), প্রোমেথাজিন ৫এমজি/ ৫ এমএল এলিক্সি (১০০ এমএল বোতল), প্রোমেথাজিন ২৫এমজি/এমএল ইনজেকশন, নরগেস্টেরেল ০.৩০ এমজি+ইথাইনিলিস্ট্রাডল ০.০৩ এমজি ট্যাবলেট এবং ফেরোস ফেমেরেট ৭৫ এমজি ট্যাবলেট।