দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জনজীবন বিপর্যস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪, 11:27 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪, 11:27 AM
দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জনজীবন বিপর্যস্ত
মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাসহ দেশের উত্তর অঞ্চলের জনপদ। কনকনে ঠান্ডা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে এখানকার দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। এই অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের কিছু কিছু মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছে না। কিন্তু তবুও জীবিকার তাগিদে এই ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করেই মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে অনেককে। এদিকে গত কয়েকদিন থেকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।এদিকে এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ শুক্রবার রেকর্ড করা হলো দেশের সর্ব-উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়—৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও পঞ্চগড়সহ দেশের ১২ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানা গেছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, জেলায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাতভর পড়া কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথগুলো। গাছের পাতা, ফসলের ক্ষেত আর ঘাসের ওপর থেকে টপটপ করে পড়ছে শিশির বিন্দু। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কাজের সন্ধানে ছুটছে কর্মজীবী মানুষরা।
পাকের হাট বাজারে সকালের বাণী প্রতিনিধির সাথে কথা হয় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক মোরশেদুল ও ওমর ফারুকের সঙ্গে। তারা বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। আগে দিনে ৮শ থেকে হাজার, ১২শ টাকা আয় হত। গত কয়েকদিন ধরে সারা দিনেও অর্ধেক টাকা আয় হয় না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে, একদিকে আয় কম, অন্যদিকে বাজারের সব জিনিসের দাম বেশি।
এদিকে ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে। চিকিৎসকরা জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না।