দুই বছরের মধ্যে বিশ্ব মানচিত্রে ইউক্রেনের অস্তিত্ব থাকবে না
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬ জুন, ২০২২, 11:22 AM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬ জুন, ২০২২, 11:22 AM
দুই বছরের মধ্যে বিশ্ব মানচিত্রে ইউক্রেনের অস্তিত্ব থাকবে না
টানা প্রায় চার মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক এই আক্রমণে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি কার্যত বিপর্যস্ত হলেও পশ্চিমাদের সামরিক সহায়তা নিয়ে সাধ্যমতো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশ কিছু ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে মস্কো।
এমনকি আরও বৃহত্তর ভূখণ্ড হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর মিত্র এই দেশটি। এই পরিস্থিতিতে বেশ চাঞ্চল্যকর এই মন্তব্যই সামনে এনেছেন রাশিয়ার সাবেক এক প্রেসিডেন্ট। তার দাবি, বিশ্ব মানচিত্র থেকে অস্তিত্ব হারাতে পারে ইউক্রেন। বুধবার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অস্তিত্ব নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা সাবেক ওই রুশ প্রেসিডেন্টের নাম দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেছেন, দুই বছরের মধ্যে ‘বিশ্ব মানচিত্রে ইউক্রেনের হয়তো আর অস্তিত্বই থাকবে না’।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের পর দীর্ঘসময় রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্বপালন করেছেন দিমিত্রি মেদভেদেভ। বর্তমানে তিনি রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান।
টেলিগ্রামে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমি একটি বার্তা দেখেছি যে, ইউক্রেন… তার বিদেশি মালিকদের কাছ থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পেতে চায়। অর্থের বিনিময়ে আগামী দুই বছরের মধ্যে ডেলিভারি পেতে চায় তারা। অন্যথায় পরবর্তী শীতকালে এটি কেবল আটকে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এখন প্রশ্ন হলো- কে বলেছে যে দুই বছরে ইউক্রেন বিশ্বের মানচিত্রে আদৌ বিদ্যমান থাকবে কি না?
এদিকে দিমিত্রি মেদভেদেভের এমন মন্তব্যের জবাব বেশ উপহাসের সঙ্গে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক। টুইটারে দেয়া এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ইউক্রেন আছে, এতদিন ছিল এবং থাকবে। প্রশ্ন হলো- মেদভেদেভ দুই বছর পর কোথায় থাকবেন?
উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলা হয়ে থাকে দিমিত্রি মেদভেদেভকে। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মেদভেদেভ রাশিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। এছাড়া ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।