ঢাকা ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচন কবে হতে পারে, জানালেন আসিফ নজরুল সব রেকর্ড ভাঙল সোনার দাম একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই আ.লীগের আমলে গড়া সিন্ডিকেট এখনও এই সরকার ভাঙতে পারেনি বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি ৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিল হচ্ছে লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের সিরিজ বিমান হামলা, নিহত অন্তত ২৩ সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী পদে ওমর আবদুল্লাহর শপথ আজ সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে

নদীতে খাঁচায় মাছ চাষে ভাগ্যবদল

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  11:50 AM

news image

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ফুলজোর নদীতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভজনক হওয়ায় নতুন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা। যার ফলে দেখা দিয়েছে নতুন কর্মসংস্থানের। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে অনেকেরই।
 
উপজেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, মোট এক হাজার ৮০০টি খাঁচায় মাছ চাষ হয়। খামারীর সংখ্যা ৫১ জন।সরেজমিনে গিয়ে  জানাযায়, উপজেলার ফুলজোর নদীতে বকুলতলা, তিননান্দীনা, নলছিয়া, সাহেবগঞ্জ, ফরিদপুর, রামপুর, ঘুড়কা, বিষ্ণুপুর, ধানগড়া, জয়ানপু, চান্দাইকোনা এ সব এলাকাজুড়ে বড় বড় খাঁচায় ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন। 
 
খাঁচায় মাছ চাষ করলে মাছের বর্জ্য প্রবাহমান পানির সাথে অপসারিত হয় বিধায় পানিকে দূষিত করতে পারে না। মাছের উচ্ছিষ্ট খাদ্য খেয়ে নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজাতির প্রাচুর্য বৃদ্ধি পায়। প্রবাহমান পানি থাকায় খাঁচার অভ্যন্তরের পরিবর্তন হতে থাকে ফলে পুকুরের চেয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়। পুকুরে চাষকৃত মাছের চেয়ে খাঁচায় চাষকৃত মাছ বেশি সুস্বাদু হয়।
 
ফরিদপুর গ্রামের মাছচাষী আব্দুস সালাম জানান বাঁশ, লোহা, ড্রাম ও জাল দিয়ে খাঁচা তৈরি করতে হয়। পানির গভীরতা ৬ ফুট প্রস্থ ১৫ ফুট ও দৈর্ঘ্য ২০ ফুট এমন খাঁচা তৈরি করেন অধিকাংশরাই। প্রতিটি খাঁচা তৈরিতে খরচ ১০ হাজার টাকা। প্রতিটি খাঁচায় মাছ দেয়া হয় সাত শ’ থেকে আট শ’ পিছ। পাঁচ থেকে ছয় মাস পর মাছ বিক্রি করা হয়। এক কেজি মাছে উৎপাদন খরচ একশ ১০ টাকা আর বিক্রি হয় একশ ৫০ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি খাঁচায় লাভ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় বেকার যুবকরা।
 
রামপুর গ্রামের মাছ চাষী জহুরুল বলেন, নদীর চলন্ত পানি থাকায় মাছের রোগ বালাই হয় না। প্রাকৃতিকভাবেই এ মাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে। এসব খাঁচায় মূলত তেলাপিয়া ও কাপ জাতীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যায়। বাজারে এই সব মাছের চাহিদা ভালো থাকায়, দামও ভালো পায় খামারীরা।
 
রায়গঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলার নদী-খালবিল সকল উন্মুক্ত জলাশয়ে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি আগামী বছরে খাঁচায় মাছ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির