নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি রিসার্চে চার উদ্যোক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 11:39 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 11:39 AM
নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি রিসার্চে চার উদ্যোক্তা
প্রায় সপ্তাহ দু'য়েক ধরে একটা ছোট খাটো রিসার্চ করা হলো "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি " শীর্ষক।
রিসার্চে মোটা দাগে চার ধরনের উদ্যোক্তা পাওয়া গেলো-
১. সরাসরি উদ্যোক্তা
স্যোশাল মিডিয়ায় এরা ব্রাহ্মণ শ্রেণির। একেবারে নিজের বিনিয়োগকৃত অর্থে কোন একটা পণ্যের প্রচার এবং প্রসারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এদের নির্দিষ্ট ক্লায়েন্ট সার্কেল রয়েছে। এরা নিয়মিত লাইভ করেন, পণ্যের বিপণন সরাসরি নিশ্চিত করে। ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ হয় ফিডব্যাক পায়৷ এরা কথা বলতে পারে ।
২. প্রোডাক্ট রিভিউয়ার
আজকাল সোজা সাপটা ভাষায় এরা নিজেকে ব্র্যান্ড প্রমোটর পরিচয় দেন। আরেকজনের পণ্য অর্থের বিনিময়ে প্রমোট করাই এদের কাজ। পণ্যের মান -গুণ বিবেচ্য নয়। এটা অনেকটা চাকরির মতো। তবে ইনকাম খারাপ না।এরা বেশ বাক পটিয়শী, প্রয়োজনে বানিয়ে বানিয়ে দু-চার লাইন বলে দিতে পারেন। মূলত এরাই প্রতি লাইভে আসার সময় এক বাটি খাবার নিয়ে আসেন।
৩. পার্সোনাল ব্লগ
এরা সাধারণত গৃহিণী। সকালে কিভাবে দিন শুরু করলেন, বিছানার কালো রংয়ের চাদর পাল্টে সাদা রংয়ের চাদর পেতেছেন, সারাদিন কি রান্না করলেন এবং পরের দিনটা কিভাবে শুরু করবেন সেটাও জানিয়ে দেন। এরা মূলত নির্দিষ্ট কোন পণ্যের নয় বরং নিজের প্রাত্যহিক জীবন টাকেই পণ্য বানিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন। এখানেও আয় -উপার্জন একেবারেই মন্দ না। এরা সামনা সামনি কথাটথা খুব একটা বলতে পারে না। ছোট ছোট ভিডিও বানিয়ে আপ করেন।
৪. ফুড ব্লগার
এদের নিয়ে তেমন আশা ব্যঞ্জক কিছু বলা যাচ্ছে না। ফুচকা থেকে পান্তা ভাত, এরা সবকিছুই খেয়ে শেষ করে ফেলছে। কার কতো ভিউ হবে তা খাওয়ার ওপর ডিপেন্ড করছে, যার খাওয়া যতো উদ্ভট তার কন্টেন্ট ততো সফল। এরা তেমন কথা বলতে পারেনা, খাওয়ার সময় খালি চকাম চকাম শব্দ করে।