ঢাকা ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৫০০ জুলাই গণহত্যা: হাসিনার বিরুদ্ধে দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ কুসুমের নতুন রূপ নজর কাড়ল ভক্তদের বিমান হামলায় হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা নিহত, দাবি ইসরায়েলের বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ আইসিইউ থেকে নুরকে নেওয়া হতে পারে কেবিনে রাকসু কার্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ, চেয়ার-টেবিল ভেঙে দিল রাবি ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনে এস এম ফরহাদের জিএস প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট ট্রাম্পের ইচ্ছায় বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম একাদশে ভর্তিতে শেষ ধাপে আবেদন শুরু, সময় দুদিন

নিত্যপণ্যের দামে অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ নভেম্বর, ২০২২,  12:24 PM

news image

কাঁচাবাজারে কোনো পণ্য কিনতে গিয়েই স্বস্তি পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। প্রতিটি পণ্যের দামই হু হু করে বাড়ছে। মধ্যবিত্তরাও এখন দামের চাপে ব্যাগের তলানিতে পণ্য নিয়ে ফিরছেন ঘরে। নিম্নবিত্তদের অবস্থা অবর্ণনীয়। আজ শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দাম বাড়ার কোনো কারণ না থাকলেও ফের বাড়তে শুরু করেছে মোটা চাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, মসুর ডালসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এসব পণ্যের বাড়তি দামের চোটে যেমন একদিকে ক্রেতারা চাহিদার তুলনায় পণ্য কম কিনছেন, তেমনি বিক্রেতাদেরও কেনাবেচা কমেছে।

মুদি দোকানিরা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়তি। দাম শুনে অনেকে পণ্য না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। যেটা না নিলেই নয়, সেসব পণ্য এক কেজির জায়গায় আধা কেজি নিচ্ছেন। আগে যারা পুরো প্যাকেট নিতেন, তারা খোলা কিনছেন। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে আমাদেরও স্বস্তি নেই।

এ অবস্থায় ক্রেতারা নাজেহাল। আল আমিন নামের কিন্ডারগার্টেনের এক শিক্ষক বলেন, বাজারে একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পরিস্থিতি যেন আমাদের মতো মানুষের বেঁচে থাকার অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। সংসারের খরচ কমাতে কমাতে এমন জায়গায় গেছে, আর উপায় শেষ। এখন একবেলা না খেয়ে থাকবে হবে।

এদিকে শুক্রবারের বাজারে নতুন অস্বস্তি নিয়ে এসেছে ভোজ্যতেল। দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছিল এক মাস আগে। এর মধ্যেই আবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবার তারা লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান। গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেওয়ার পর এরই মধ্যে বাজারে তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। সে জন্য এখন বেশির ভাগ দোকানে আগের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী তেল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও কিনতে হচ্ছে আরও বেশি দরে।

এক খুচরা বিক্রেতা জানান, সরকার ঘোষণা দেয়ার আগেই ডিলাররা তেলের দাম বেশি নেয়া শুরু করেছে। বোতলজাত সয়াবিনের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বেড়েছে পাইকারি বাজারে। পাইকারি পযার্য়ে প্রতি ড্রাম (২০৪ লিটার) সয়াবিন ও পাম তেলে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে।

অন্যদিকে বাজারে চিনির দাম এখনো কমেনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা নির্ধারিত থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। আবার সরকারি চিনিকলের চিনিগুলো প্রতিকেজি ৮৫ টাকা দর নির্ধারিত থাকলেও সেসব বাজারে মিলছে না।

গত তিন দিনে মিল পযার্য়ে মোটা চাল প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। সে কারণে খুচরা বাজারে খোলা চালের দামও বেড়েছে ১-২ টাকা। প্রতি কেজি পায়জাম ও গুটি স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৬ টাকায়। বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।

খুচরা বাজারে বেড়েছে খোলা আটা-ময়দার দামও। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। যা আগে ৫ টাকা কম ছিল। একইভাবে ভালো মানের ময়দার দাম ৬৫-৭০ টাকা হয়েছে। ডালের দামও গত তিন-চার দিনে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। দেশি প্রতি কেজি মশুর ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ এবং আমদানি করা ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আরো ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি ঠেকেছে ৬০ টাকায়। আবার ভালোমানের বাছাই করা পেঁয়াজ নিতে গেলে কোথাও কোথাও ৭০ টাকাও দিতে হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা বা তার কিছু কমবেশি দামের সবজির তালিকায় রয়েছে কাকরোল, কচুর লতি, উস্তা, করলা, ঝিঙা ও শিম। বেগুন, পটল, চিচিঙ্গা, মুলা ও একপিস ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকার মধ্যে। কম দামে শুধু পেঁপে, যা ৪০ টাকা কেজি। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির