পবিপ্রবি'তে রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণের কাজ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ মার্চ, ২০২৩, 11:48 AM

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ মার্চ, ২০২৩, 11:48 AM

পবিপ্রবি'তে রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণের কাজ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বৈদ্যুতিক লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক মসজিদের পাশে নির্মিত ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারাল ভবনের ছাদে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে চার জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারাত্মকভাবে দূর্ঘটনার শিকার হন।
শনিবার (১১ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আগামীকাল ছাদ ঢালাই দেয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে রাতেই রড দিয়ে ছাদের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। রডের সাথে বৈদ্যুতিক মেইন লাইনের সংযোগ হয়ে ছিটকে পড়ে ইমরান হোসেন(২৫), মোঃ মনির(২৭),শফিকুর রহমান (৩৮) সহ চার জন মারাত্মক স্পৃষ্ট হয়। এতে শ্রমিকদের প্রায় ৭০% শরীর পুড়ে দগ্ধ হয়। আহত শ্রমিকদের মধ্যে শফিকুর রহমানের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তিনি দুমকি উপজেলার দেবীরচর নিবাসী ফজলুর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদের পাশে নির্মিত ভবনে বৈদ্যুতিক লাইনে আগুন ধরে যায়। তারপর উপর থেকে একজন নিচে পড়ে যান এবং শরীর অধিকাংশ অংশ পুড়ে যায়। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. কেরামত আলী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারে নিয়ে যান।
পবিপ্রবি হেলথকেয়ার সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. এ. টি. এম. নাসির উদ্দীন বলেন, "আহত শ্রমিকদের হেলথ কেয়ারে আনলে দেখা যায় শ্রমিকদের শরীরের প্রায় ৭০% পুড়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে কোন ধরণের আশংকা থাকবে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, "আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আরো বেশি সচেতন হওয়া দরকার ছিলো। এ ধরণের ঘটনা কোন ভাবেই কাম্য নয়।"
শ্রমিকদের যথাযথ নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত না করে কেন রাতের আঁধারে কাজ করানো হলো সেটাই এখন জনমনে প্রশ্ন। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনে যথেষ্ট উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।