পোলাওয়ের চালের কেজি ১৫০ টাকা!
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ জুলাই, ২০২২, 11:48 AM

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ জুলাই, ২০২২, 11:48 AM

পোলাওয়ের চালের কেজি ১৫০ টাকা!
চালের বাজারে রীতিমত নৈরাজ্য চলছে। বিশেষ করে পোলাওয়ের চালের বাজারে এই নৈরাজ্য সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। ঈদকে সামনে রেখে পোলাওয়ের চাল বাজারজাতকারী বিভিন্ন কোম্পানি মোড়কজাত করে চালের দাম কেজিতে কমপক্ষে ৩০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও বুধবার বিভিন্ন বাজার ও মার্কটে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কিন্তু তাতে খুব একটা ফল আসেনি।
রাজধানীর একাধিক ডিপার্মেন্টাল স্টোর, সুপার শপ ও বাজারে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনিগুড়া পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা দরে। আর একই চাল মোড়কজাত করে প্রাণ, এরফান, রূপচাঁদা, এসিআই, আকিজ গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বিক্রি করছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। সাধারণ ক্রেতাদের রীতিমত গলাকাটা। অথচ মোড়কজাত এই চাল প্রতি কেজি তিন-চার দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা দরে।
এমনিতেই চালের বাজার অস্থির। বোরোর ভরা মওসুমে মোটা চাল থেকে শুরু করে মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ সব ধরনের চালের দাম চড়া। সরকার চালের বাজারকে স্থিতিশীল করতে ইতিমধ্যে চালের আমদানির উপর শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে।
চালের বাজারকে যখন স্থিতিশীল করার চেষ্টায় সরকার, তখন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বড় বড় কোম্পানিগুলো পোলাওয়ের চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। তারা যুক্তি দেখাচ্ছে পোলাওয়ের নতুন ধান বেশি দামে কেনার কারণে চালের দাম বাড়াতে হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো যুক্তিতেই পোলাও এর চালের দাম বাড়তে পারে না। কারণ পোলাওয়ের চালের ধান চাষ হয় শীত মওসুমে অর্থাৎ আমন মওসুমে। এই মওসুম শেষ হয়েছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। এই বর্ষা শেষ হলেই আবার আমন মওসুমের ধানের চারা রোপণ করা হবে। বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে এক শ্রেণির ফড়িয়া এই ধান কিনে নেন। কৃষকের কাছে এই মুহূর্ত বাজারে বিক্রি করার মতো পোলাওয়ের কোনো ধান নেই। ফড়িয়ারা মজুদ করে এখন সেটি অতিরিক্ত লাভসহ বিক্রি করছে।
ক্রেতারা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে কেজিতে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা লুটে নিচ্ছে বড় বড় কোম্পানিগুলো, যারা মোড়কজাত করে পোলাওয়ের চাল বিক্রি করছে।
বাজারে পোলাওয়ের চাল বাড়তি দামের খবরে বুধবার নগরীর মোহম্মাদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় বিভিন্ন সুপার শপ ও মার্কটে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান জানান, আমরা বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে বাড়তি মূল্যের সত্যতা পেয়েছি। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করা হয়েছে।