প্রকৌশলী শামীম আখতারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে- দুদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ নভেম্বর, ২০২২, 3:38 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ নভেম্বর, ২০২২, 3:38 PM
প্রকৌশলী শামীম আখতারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে- দুদক
বিশেষ প্রতিনিধি: গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার সরকারি আবাসন গবষেণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিভিট (এইচবিআরআই) এর মহাপরিচালক থাকাকালীন নানা অনিয়মের
প্রকৌশলী শামীম আখতারের বিরুদ্ধে এবং ২৮ জন নিরাপত্তাকর্মী কাজ করলেও ৪১ জনের বেতন উত্তোলন, প্রভৃতি অনিয়ম-দুর্নীতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে দুর্নীতি দমন কমশিন প্রধান কার্যালয় থেকে দুই সদস্যরে সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গত ০৬-১১-২০২২ তারিখে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে টিম উক্ত জেনারেটর, সাবস্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্টের পরিদর্শন করে এবং সবগুলো মেশিনই অকার্যকর দেখতে পায়। বিষয়ে ইন্সটিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক এবং প্রিন্সিপাল রিসার্চ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে উক্ত প্রজেক্ট সমূহ ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে পৃথক পৃথক বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। দুদকের তদন্ত টিম এ সম্পর্কিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানায়। নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন : হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচআিরআই) এর মহাপরিচালক থাকাকালীণ সময়ে শামীম আখতার ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সিকিউরিটি গার্ড,সুপারভাইজার ও ইনচার্জ নিয়োগ দিয়েছিলেন। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আমিনুল হক অভিযোগ করেন, ২১ মার্চ ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে ৩১ আগস্ট ১৮ সাল পর্যন্ত তার প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত ছিল। তার প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বিধি বর্হিভূতভাবে বাতিল করায় তিনি একটি অভিযোগ করেন। তৎকালীণ সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিকট ৪৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৫০ টাকা বকেয়া বলে অভিযোগ পরে উল্লেখ করা হয়। তার অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বকেয়া দেনা পরিশোধের সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৩ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অর্থিক অনিয়মের বিষয়ে আরও ২ টি তদন্ত প্রতিবেদনসহ মোট ৩ টি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয় বলে হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচাআরআই) এর বর্তমান মহাপরিচালক আশরাফুল আলম ২৬ অক্টোবর ২২ তারিখে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত একটি চিঠির মাধ্যমে জানা যায়।
সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। জেনারেটর, সাবস্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট স্থাপনে অনিয়ম এরপর অভ্যন্তরীণ ৩ টি তদন্ত প্রতিবেদনে বিপুল পরিমান অর্থিক অনিয়ম ও সরকারী অর্থ অপচয়ের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, এতে করে উক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিশাল অংকের দায়-দেনা ও ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকায় রয়েছে। এ বিষয়ে তৎকালীন মহাপরিচালক শামীম আখতারের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। তিনি একজন সংস্থা প্রধান হওয়ার উল্লেখিত বিপুল আর্থিক অনিয়ম ও মারলেনার বিষয়ে মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।