ঢাকা ০৩ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
টঙ্গীতে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ বাবা-মা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে নিরস্ত্রীকরণে রাজি নয় হামাস ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া যাবে না: নিষেধাজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করল কানাডা ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া যাবে না: নিষেধাজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করল কানাডা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য রাখছেন চিফ প্রসিকিউটর চট্টগ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগী ৫ আগস্টের আগেও জুলাই ঘোষণাপত্র হতে পারে : মাহফুজ আলম সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে রাশিয়ার কাছাকাছি পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েন করলেন ট্রাম্প জামায়াত আমিরের হার্টের বাইপাস সার্জারি চলছে

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে নিরস্ত্রীকরণে রাজি নয় হামাস

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৩ আগস্ট, ২০২৫,  12:34 PM

news image

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হওয়া পর্যন্ত নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র না হওয়া পর্যন্ত তারা নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হবে না। গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান দাবির জবাবে তারা এমনটাই জানিয়েছে। খবর বিবিসির।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের একটি মন্তব্যের জবাবে তারা এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এর আগে উইটকফ দাবি করেছেন যে, হামাস তাদের অস্ত্র সমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

ইসরায়েল সংঘাত অবসানের জন্য যেসব গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো হামাসের নিরস্ত্রীকরণ।যুদ্ধবিরতির ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার পরোক্ষ আলোচনা গত সপ্তাহে থমকে গেছে।

গত কয়েকদিনে আরব দেশগুলো নিরস্ত্রীকরণ ও গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার জন্য হামাসের প্রতি আহবান জানিয়েছে। এর আগে ফ্রান্স ও কানাডাসহ পশ্চিমা কিছু দেশও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে।

যুক্তরাজ্য বলছে, ইসরায়েল সেপ্টেম্বরের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ না করলে তারা এটা করবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষিত হামাস বলছে, জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও পূর্ণ সার্বভৌম রাষ্ট্র না পাওয়া পর্যন্ত তারা তাদের প্রতিরোধ এবং অস্ত্রের অধিকার সমর্পণ করবে না।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ এর লে. জেনারেল ইয়াল জামির শুক্রবার সতর্ক করে বলেছেন, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য আলোচনা ব্যর্থ হলে গাজায় লড়াইয়ের কোনো বিকল্প তাদের হাতে থাকবে না।

জিম্মিদের একজন এভিয়াতার ডেভিডের পরিবার এক বিবৃতিতে তাকে ক্ষুধার্ত রাখার অভিযোগ করেছে। তারা ইসরায়েল সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাকে রক্ষার জন্য সম্ভাব্য করণীয় সব করার আহবান জানিয়েছে।

স্টিভ উইটকফ এখন ইসরায়েল সফর করছেন। এদিকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে আছে।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলো গাজায় মনুষ্য সৃষ্ট ব্যাপক অনাহারের বিষয়ে সতর্ক করেছে। তারা এজন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ইসরায়েল অবশ্য বলছে, সেখানে অনাহার নেই এবং ত্রাণ বিতরণে কোনো বিধিনিষেধও নেই। শনিবার উইটকফ গাজায় যারা এখনো জিম্মি আছে তাদের পরিবারের সঙ্গে তেল আবিবে দেখা করেছেন।

অনলাইনে থাকা ফুটেজে দেখা গেছে, প্রতিবাদ বিক্ষোভের জন্য পরিচিত একটি চত্বরে তিনি পৌঁছানোর পর জিম্মিদের পরিবার ও তাদের সমর্থকরা তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। উইটকফ বলেন, আংশিক চুক্তি না করে সংঘাত অবসানের দিকে দৃষ্টি দেওয়া এবং সব জিম্মিকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা উচিত।

তিনি বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেছেন। শুক্রবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক সমালোচিত একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

জাতিসংঘ সবশেষ জানিয়েছে, গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৩৭৩ জন্য ফিলিস্তিনি ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ এর ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছে তারা।

ইসরায়েল এসব কেন্দ্রের কাছে নৈরাজ্যের জন্য হামাসকে দায়ী করেছে। তারা বলছে, তাদের সৈন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করেনি।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির