ফের অস্থির ডিমের বাজার, চাল-সবজিও ঊর্ধ্বমুখী
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 3:42 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 3:42 PM
ফের অস্থির ডিমের বাজার, চাল-সবজিও ঊর্ধ্বমুখী
ফের অস্থির হয়ে উঠেছে ফার্মের মুরগির ডিমের বাজার। কয়েক দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডিমের হালি ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪৮-৫২ টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। রাজধানীর বাড্ডা, নতুন বাজার, ভাটারার বেশকিছু এলাকার দোকান ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকায়, আর ডজন ১৪৫-১৫০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে সরবরাহ সংকটে আবার দাম বেড়েছে। আবার কেউ বলছেন, মুরগির খাদ্যের উপকরণের দাম, জ্বালানি তেলের দাম এবং ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দামে প্রভাব পরেছে। এসব কারণে যখন গত মাসে ডিমের দাম বেড়েছে, সে সময় প্রশাসনের চাপে বাধ্য হয়ে দাম কমেছিল। কিন্তু সমস্যা সমাধান না হওয়াতে আবারো বাড়ছে।
ডিম উৎপাদনকারী সমিতির সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ডিম উৎপাদন করলেও দাম নির্ধারণ করতে পারি না। আমরা তো এক টাকাও বাড়তি পাচ্ছি না। আড়তদার আর বড় বড় কোম্পানি সিন্ডিকেট করছে। তারা দিনে ৫ লাখ ডিম উৎপাদন করে। ২ টাকা দাম বাড়াতে পারলে দিনে ১০ লাখ লাভ করেন। তারাই দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ঢাকার ডিমের আড়তদারদের সংগঠন তেজগাঁও বহুমুখী সমবায় সমিতির এক প্রতিনিধি জানান, প্রতিদিন সকালে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা দাম নির্ধারণ করেন। সেই দাম আমলে নিয়ে পাইকারি বাজারে দাম নির্ধারণ হয়।
গত মাসে যারা ডিমের দাম অস্থিতিশীল করেছিল, তারাই এখন করছে। সে সময় আমরা সরকারের বিভিন্ন মহলকে সেসব কোম্পানির নাম জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এখনো।
এদিকে, কয়েক দিন সবজির দাম কিছুটা কম ছিল। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার থেকে বেড়েছে দাম। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম। এজন্য নাকি পাইকারি বাজার থেকে মোটামুটি সব সবজি ৫-১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে। আর তাই শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
শুধু সবজি নয়, বাজারে দেখা গেছে চাল ও ডিমের দামও বেশি। মোটা-সরু সব চালের দামই বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২ টাকা বেড়ে স্বর্ণা ৫০-৫২ টাকা ও বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়। অথচ এর আগে প্রতি কেজি গুটি স্বর্ণা ৪৮-৫০ টাকা ও বিআর-২৮ এর দাম ছিল ৫৮-৬০ টাকা। এছাড়া আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট ও নাজিরশাইল। এসব চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০-৮৪ টাকায়।