ভিসা ছাড়াই ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 12:20 PM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 12:20 PM
ভিসা ছাড়াই ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ছাড়া সীমান্ত খুলে দিয়েছে পোল্যান্ড।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পোল্যান্ডের ওয়ারশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তিটি শেয়ার করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ছাড়া উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্র বৈধ পাসপোর্টধারীরা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পাসপোর্ট প্রদর্শন করে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, যাদের পাসপোর্ট নেই, তারা ট্রাভেল পাস নিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন। প্রত্যেক বাংলাদেশিকে ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি সঙ্গে রাখতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। ওয়ারশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি দল আগামীকাল সকালে পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তের পথে রওনা হবে। ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে ঢুকতে ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের তারা সহায়তা প্রদান করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউক্রেনের ভেতরে বিচ্ছিন্ন বোমা বিস্ফোরণ, পেট্রোল অপ্রতুলতা এবং পথিমধ্যে অতিরিক্ত ট্রাফিক জ্যামের কারণে এ মুহূর্তে ওই বর্ডারের দূরবর্তী এলাকায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সীমান্তের দিকে রওনা হতে হলে পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে রওনা দিতে অনুরোধ করা যাচ্ছে ।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ইউক্রেনে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে এবং প্রয়োজনে পোল্যান্ডে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে বাংলাদেশ সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পোল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রেখেছে। আটকেপড়া বাংলাদেশিদের অবিলম্বে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য এরই মধ্যে ওয়ারশতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে অতিরিক্ত জনবল দিয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে। সব ধরনের কনস্যুলার সহায়তা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। এরপরই জল-স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনের ওপর ত্রিমুখী হামলা চালায় রুশ সামরিক বাহিনী। প্রথম দিনই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় রুশ সেনারা। নিয়ন্ত্রণে নেয় কিয়েভের অ্যান্টোনোভ বিমানবন্দর ও দেশটির ঐতিহাসিক চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। কিয়েভের সামরিক সদর দপ্তরের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর মিসাইল কমান্ড সেন্টারগুলোতে রুশ সেনারা দিনভর হামলা চালায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী জল-স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চলাচ্ছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের চেরনিহিভ, খারকিভ ও লুহানস্ক সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার রুশ সৈন্য স্থলপথে কিয়েভের দিকে এগোচ্ছে।
রুশ হামলার প্রথম দিনে ইউক্রেনের অন্তত ১৩৭ জন সামরিক-বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়া রাশিয়ার ৫০ সেনাকে হত্যা, পাঁচটি ট্যাংক ধ্বংস ও ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন সেনারা।