ঢাকা ১৯ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচন কবে হতে পারে, জানালেন আসিফ নজরুল সব রেকর্ড ভাঙল সোনার দাম একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই আ.লীগের আমলে গড়া সিন্ডিকেট এখনও এই সরকার ভাঙতে পারেনি বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি ৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিল হচ্ছে লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের সিরিজ বিমান হামলা, নিহত অন্তত ২৩ সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী পদে ওমর আবদুল্লাহর শপথ আজ সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে

মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ জুলাই, ২০২৩,  6:29 PM

news image

 সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সামনেই মঞ্চ থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রীর এপিএস মিজানুর রহমান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝেও হট্টগোল সৃষ্টি হয়। অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বর্ধিত সভা ত্যাগ করে চলে যান। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পযর্ন্ত বর্ধিত সভার কার্যক্রম চলে।

বর্ধিত সভার মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট-২ আসনে সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মঞ্চে মন্ত্রীর পেছনে বসেছিলাম। আকস্মিক মন্ত্রীর এপিএস মিজানুর রহমান কয়েকজন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে মঞ্চ থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে মারধর ও হেনস্তা করতে থাকেন। মন্ত্রীর এপিএস মিজান নিজেই আমাকে মারধর করেছেন। তারা আমার গায়ের কোটটি ছিঁড়ে ফেলেছে। মন্ত্রীর এপিএস মিজানের সঙ্গে যেসব ছেলে আমাকে মারধর ও হেনস্তা করেছেন তাদের আমি চিনিও না। তাদের কোনোদিনই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে দেখিনি।

নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে আরও বলেন, লালমনিরহাট-২ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়ে আমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এতেই চরম ক্ষিপ্ত হয়েছেন মন্ত্রীর এপিএস মিজান।

বর্ধিত সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একাংশ জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। যেখানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আছেন এবং তিনি হলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। নজরুল ইসলাম এই আসন থেকে নির্বাচন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অপর অংশ বলছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণে সবার অধিকার আছে। নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিনি একজন শিক্ষক। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীর এপিএস মিজান এটা সহ্য করছেন না। মিজান তার অনুসারীদের নিয়ে একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর ও হেনস্তা করেছেন, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।

তবে এ ঘটনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর এপিএস ও আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, তিনি ঘটনার কোনো কিছুই জানেন না। তিনি কেন আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামকে মারধর ও হেনস্তা করতে যাবেন। হয়তো উপস্থিত কোনো নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার বাগ্বতিণ্ডা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম যে অভিযোগ তুলে ধরেছেন, তা সম্পূর্ণরূপে অসত্য ও বানোয়াট।

আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্চে বসায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল দেখা দিয়েছিল। নজরুল ইসলাম মঞ্চ থেকে উঠে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। নজরুল ইসলামকে মারধর ও হেনস্তা করার ব্যাপারে তিনি অবগত নন।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির