মার্চে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫৫ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ এপ্রিল, ২০২২, 11:20 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ এপ্রিল, ২০২২, 11:20 AM
মার্চে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫৫ শতাংশ
করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই দেশের রপ্তানি আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রয়েছে; আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হযেছে ৫৫ শতাংশ। গত কয়েক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি আয়ের পর সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার আয় হয়েছে। গত বছর মার্চে ৩০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার রপ্তানি আয় হয়েছিল। সোমবার (৪ এপ্রিল) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার বেশি। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে। প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ৯ মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি আয়েও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এসময় চামড়াজাত খাত থেকে রফতানি আয় এসেছে ৬৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ ও আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। তবে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি কমেছে। মার্চ মাসের শেষে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ৮৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জন্য ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। গত ২০২০-২১ অর্থবছর পণ্য রফতানি করে ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।
ইপিবির সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বরাবরের মত রপ্তানিতে পোশাকের আধিপত্য বজায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে তিন হাজার ১৪২ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।
পোশাক ছাড়াও এসময়ে ১১৫ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে; যাতে প্রবৃদ্ধি রয়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৮৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি।
তবে গত কয়েক মাসের মত রপ্তানিতে নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য। মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে পাটখাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ শতাংশ পিছিয়ে আছে। পাট ও পাটজাত পণ্য খাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৮৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৯৫ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের পণ্য।