ঢাকা ০১ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা, ঢাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমলো আমরা একদলীয় দেশের বাসিন্দা, এখন সময় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের: মাস্ক গাজায় ক্যাফে, স্কুল এবং ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৯৫ সন্ধ্যার মধ্যে ছয় অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ইন্টার মিলানের হৃদয় ভেঙে বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু হতে পারে দুই দিনের অচলাবস্থার পর চট্টগ্রাম বন্দর পুরোদমে সচল শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ

মেট্রো স্টেশনে ব্যবসার সুযোগ!

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ মে, ২০২৫,  12:24 PM

news image

ঢাকার মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে এবার যাত্রীসেবার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যবহারের সুযোগও থাকছে। ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশনের বিশাল ফ্লোর ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পথ খুলতে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, এমআরটি লাইন-৬ এর ১৬টি স্টেশনের মধ্যে শুধুমাত্র ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার স্টেশন তিন তলাবিশিষ্ট। এ দুটি স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট ফাঁকা জায়গা বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দেওয়া হবে। ভাড়া নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান শপিংমল, ডেইলিশপ, ব্যাংক বা অফিস কিংবা অন্য কোনো কাজে মেট্রো স্টেশনের সংশ্লিষ্ট ফ্লোর ব্যবহার করতে পারবে।

ইতোমধ্যে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচন করা হবে। ভাড়ার প্রস্তাব বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স বা যমুনা ফিউচার পার্কের ভাড়ার সমান বা বেশি হতে হবে। ইজারা মেয়াদ ১০ বছর, যা নবায়নযোগ্য নয়।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার স্টেশনে দুটি বড় স্পেস রয়েছে, প্রতিটির আয়তন প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট। অন্যদিকে, লাইন-৬ এর বাকি স্টেশনগুলোতে গড়ে ১৫০ বর্গফুট আয়তনের তিন-চারটি ছোট কক্ষ রয়েছে, যা ভিন্নধরনের ব্যবসার জন্য উপযোগী।

তিনি বলেন, প্রথমে বড় স্পেস ভাড়া দেওয়া হবে, এরপর ছোট কক্ষগুলো ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে মেট্রোরেল চালু হয় এবং ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে পুরো রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ডিএমটিসিএলের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম অর্থবছরে (২০২২-২৩) টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৩ কোটি ৯১ লাখ টাকায়।

তবে এ আয় দিয়েই সব খরচ মেটানো সম্ভব নয়, কারণ দৈনন্দিন ব্যয়ের পাশাপাশি জাইকার থেকে নেওয়া ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করতে হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে বিকল্প আয় উৎস হিসেবে স্টেশনগুলোর ফাঁকা জায়গা ভাড়া দেওয়ার উদ্যোগকে সম্ভাবনাময় বলে মনে করছে ডিএমটিসিএল।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির