ঢাকা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে ফের তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে ৭ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৫ আরও তেল-গ্যাস না কিনলে ইইউ’র ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা ও উপকূলে টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে খুনিরা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ নভেম্বর, ২০২৪,  11:01 AM

news image

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মুদি দোকানি রইস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, রইসের লুট হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান  এসব জানিয়েছেন।  

নিহত রইস উদ্দিন কাঙলাকান্দা নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় নলুয়া বাজারে তার মুদি দোকান ছিল। আর যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— একই গ্রামের আজিজ আলী মন্ডলের ছেলে মো. মামুন (২৮) ও একই উপজেলার জুগ্নীদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে মো. জয়নাল শেখ (৫০)। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, রইস উদ্দিন পেশায় একজন মুদি দোকানদার ছিলেন। গত ৩ নভেম্বর তিনি দোকান থেকে বাড়ি না ফিরলে আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজখবর করেন, তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পান। ৮ নভেম্বর তার ছেলে দুলাল হোসেন শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে শাহজাদপুর পৌর এলাকার নলুয়া বাজারের পাশের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুজনকে ২০ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে মো. কামরুজ্জামান বলেন, মামুন ও জয়নাল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা রইসের দোকানে বসে মাঝে মাঝে আড্ডা দিতেন। তারা রইসের টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। ৩ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে তারা রইসকে অনুসরণ করেন। রইস বাড়ি যাওয়ার পরে রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে মামুন এবং জয়নাল তাকে ডাক দেয়। এরপর তারা রইসকে গলা কেটে হত্যা করে। ঘরে  তোষকের নিচে থাকা ১৬ হাজার টাকা নেয় মামুন। এরপর রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে দেয়। রইসের লাশ একটি বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে ডোবায় ফেলে দেয়। তারপর লুটের টাকার মধ্যে থেকে মামুন নিজে ১০ হাজার টাকা নেয় এবং জয়নালকে ৬ হাজার টাকা দেয়। এরপর তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির