রায়ের ৭ বছর অতিবাহিত, এখনো অরক্ষিত দেশের অন্যতম ❝পাহাড়তলী বধ্যভূমি❞
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ জুলাই, ২০২২, 3:05 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ জুলাই, ২০২২, 3:05 PM
রায়ের ৭ বছর অতিবাহিত, এখনো অরক্ষিত দেশের অন্যতম ❝পাহাড়তলী বধ্যভূমি❞
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ফয়েসলেক এলাকায় অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ বধ্যভূমি, যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ১০ হাজারেরও অধিক নিষ্পাপ বাঙ্গালীকে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের সাড়ে ৭ বছর পার হলেও সেই পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে অবহেলা অযত্নে পড়ে থাকা সেই পাহাড়তলী বধ্যভূমি পরিদর্শনে গিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির উপদেষ্টা ডা. মাহাফুজুর রহমান।
উল্লেখ্য যে, দেশের ৮ জন নাগরিকের করা রীট আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৪ সালে বধ্যভূমির নিদিষ্ট প্রায় পৌনে ২ একর জায়গা অধিকগ্রহনপূর্বক বধ্যভূমি সংরক্ষণের আদেশ দেন। ২০১৭ সালের ❝স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুমদখল আইন❞ অনুযায়ী প্রাক্কলন প্রাপ্তির ১২০ দিনের মধ্যেই প্রত্যশী ব্যাক্তি বা সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ মুঞ্জরীর অর্থ নির্ধারিত জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও দীর্ঘ ৭ বছর সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো এক অজানা কারণে এই বধ্যভূমি সংরক্ষণে কোনো কার্যকর পদেক্ষপ এখনোও পর্যন্ত গ্রহণ করা হয় নি।
বধ্যভূমি পরিদর্শনের সময় শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আরোও উপস্থিত ছিলেন রাউফুল হোসেন সূজা, গাজী তাহের উদ্দিন নকি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, দেবু প্রসাদ ও বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র মহিন উদ্দিন, লিটন চৌধুরী রিংকু, ছাত্রনেতা হাসানুল আলম চৌধুরী সবুজ, মোঃ দিদার হোসেন, পাহাড়তলী বিশবিদ্যালয় কলেজ ছাত্র শরীফ উদ্দিন সোহাগ, তপু শীল, তাহামিদুল ইসলাম গৌরব, ফজলুল হাজেরা ডিগ্রী কলেজ এর ছাত্র মোঃ মাঈনউদ্দীন ইয়াছার রশীদি (সামী), কৃষান দাশ, মোহাম্মদ শাকিল হোসেন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইরফান ,তাশরিক হাসান,শাহীন ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রবৃন্দ।
এসময় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান সহ উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রক্তন ছাত্রবৃন্দ সহ সকলেই উচ্চ আদালতে রায় থাকা সত্তেও বধ্যভূমি সংরক্ষন না হওয়াই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অচিরেই বধ্যভূমির নির্দিষ্ট পৌনে ২ একর জায়গা সংরক্ষন করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স করার জোর দাবী জানান।