ঢাকা ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশি ঠেকানোর যুদ্ধে নেমেছে ইতালির এক শহর বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩ মিয়ানমারে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ১১ ‘৭ দিন থাকি মরণের তিস্তার ভাঙন শুরু হইছে, কেউ আসি দেখিল না’ রদ্রিগোর গোলে ইকুয়েডরকে হারাল ব্রাজিল দুপুরের মধ্যে আট অঞ্চলে ঝড়ের আভাস কুমিল্লায় মাইক্রোবাসের পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত ৪ শাজাহান খান গ্রেপ্তার, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১৭ ফিলিস্তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ আজ

রিজার্ভ থেকে ৪ মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি

#

ডেস্ক রিপোর্ট

০৩ নভেম্বর, ২০২২,  11:09 AM

news image

সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। বাজারে ডলার সংকটের সময় অনেকের মধ্যেই পুঞ্জীভূত করার প্রবণতা তৈরি হয়েছিল। এতে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার সংকট কাটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে সরবরাহ করতে থাকে। এতে ডলার সংকট দূর না হলেও ডলার সিন্ডিকেট কমেছে।

এদিকে সরকারের আমদানির দায় মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রির ফলে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে বুধবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার বিক্রি ছাড়িয়েছে। ডলার বিক্রির প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমেছে। রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে।

গতকাল বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ১ কোটি সত্তর লাখ ডলার বা ১৭ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে নতুন অর্থবছরে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমদানি দায় মেটাতে ৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন বা ৫১৪ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলো থেকে ৪৯ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা বাজার থেকে উঠে আসে বাংলাদেশ ব্যাংকে। এ কারণে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে ব্যাংক খাতে। মূলত আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে নিম্নমুখী আর বিদেশি ব্যাংকে ঋণসীমা কমানোয় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

গত অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে কখনো এক অর্থবছরে এত ডলার রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়নি। অথচ ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ায় দর ধরে রাখতে রেকর্ড প্রায় ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার বিক্রি করেছে ৯৭ টাকা দরে।

গতকাল বুধবার আন্তঃব্যাংক প্রতি ডলার গড়ে ১০১ টাকা ৩৮ পয়সা থেকে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সায় কেনাবেচা হয়। গত বছরের ঠিক এই সময়ে প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৫ টাকা ৫০ পয়সা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা।

অবশ্য সাম্প্রতিককালে ডলারের সংকট নিরসন ও প্রবাসী আয় বাড়াতে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) যৌথ সভা করে। সভায় তারা নতুন দাম নির্ধারণ করে।

তাদের মতে, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা কিনতে পারবে ব্যাংক। বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল নগদায়ন হবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। রেমিট্যান্স আহরণ ও রপ্তানি বিল নগদায়নে ব্যাংকগুলোর গড় (ওয়েট অ্যান্ড এভারেজ) মূল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির