রেমিট্যান্সে প্রণোদনা ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ মে, ২০২২, 12:18 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ মে, ২০২২, 12:18 PM
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব
ডলারের সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। গত ১৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে লেখা চিঠিতে বাফেদার পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব জানানো হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেেআজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে বৈঠকে বসবে বাফেদা।
সংগঠনটির প্রস্তাবের মধ্যে অন্যতম হলো- বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা, বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে ডলার সরবরাহ করা, বাজারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ে আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার পুনর্নির্ধারণ করা।
সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংক বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো থেকে ‘একক বিনিময় হারে’ লেনদেন করারও প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, ওই হার আন্তঃব্যাংকের মধ্যে লেনদেনের থেকে কমপক্ষে শূন্য দশমিক ১ শতাংশের কম হবে। এই একক বিনিময় হার কঠোরভাবে তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাফেদার প্রস্তাবে আরো বলা হয়, এডি ব্যাংকগুলো রফতানির ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী কর্তনমূল্যের সুযোগ নিশ্চিত করবে এবং রফতানির কাগজপত্র যাচাই করবে। এছাড়া একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানির এলসি বিল ও সরকারি বাধ্যতামূলক পাওনা পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার বাড়তি চাহিদার তারল্য সরবরাহ করবে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত এডি ব্যাংকগুলো নিজস্ব উৎস থেকে কেবল সরকারের বাণিজ্য ও বাধ্যতামূলক পাওনা বড় জোড় তিন মাসের জন্য পরিশোধ করবে। তবে এসব ব্যাংক সরকারের আন্তঃব্যাংক বাজার পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার উৎস হিসেবে ব্যবহার হবে না।
বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান সাংবাদিকদের জানান, দেশে এখন আমদানির জন্য যে পরিমাণ অর্থ বা ডলার খরচ হচ্ছে, তা রফতানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে মিটছে না। এর ফলে সংকট তৈরি হয়েছে। এজন্য বাজারে ডলারের সংকট দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে পরিমাণ ডলার বিক্রি করছে, সেটি চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। ফলে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঘাটতি তৈরি হয়েছে।