ঢাকা ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৫০০ জুলাই গণহত্যা: হাসিনার বিরুদ্ধে দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ কুসুমের নতুন রূপ নজর কাড়ল ভক্তদের বিমান হামলায় হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা নিহত, দাবি ইসরায়েলের বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ আইসিইউ থেকে নুরকে নেওয়া হতে পারে কেবিনে রাকসু কার্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ, চেয়ার-টেবিল ভেঙে দিল রাবি ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনে এস এম ফরহাদের জিএস প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট ট্রাম্পের ইচ্ছায় বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম একাদশে ভর্তিতে শেষ ধাপে আবেদন শুরু, সময় দুদিন

রেমিট্যান্সে রমজানের হাওয়া

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ এপ্রিল, ২০২২,  5:31 PM

news image

রোজায় মানুষের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বেড়ে যায়। তাই পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৮৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের মাসের চেয়ে ২৪ শতাংশ বা ৩৬ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ডলার।

রোববার (৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রেমিট্যান্স বাড়লেও; গত বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে তা কমেছে। মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ (১.৮৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসী আয়ের এ অংক আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৩ শতাংশ কম।  গত বছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৯ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চে) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৫২৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ২০ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা)। এ অংক আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩০ কোটি বা প্রায় ১৮ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন ছিল। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রবাসী আয়ের গতি কিছুটা বেড়েছিল। এরপর ফেব্রুয়ারিতে আবারও ধস নামে। ফেব্রুয়ারিতে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে ১৮৬ কোটি ডলার ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে ৩ কোটি ডলার। অন্যটিতে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বরাবরের মতো বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। মার্চে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৯ কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকে এসেছে ২৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ১৬ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ, আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বর মাসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বর ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ, ডিসেম্বরে ১৬৩ কোটি, জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ এবং ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা পাঠান ১৪৯ কোটি ডলার।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির