রেলওয়ে রানিং স্টাফ ইউনিয়নের লোকোমাস্টার খোরশেদ আলমের উপর হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জুলাই, ২০২৫, 8:27 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জুলাই, ২০২৫, 8:27 PM

রেলওয়ে রানিং স্টাফ ইউনিয়নের লোকোমাস্টার খোরশেদ আলমের উপর হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবি
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আজ চট্টগ্রামে রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দপ্তরে সিএমই (পূর্ব) জনাব কাজী মোঃ সেলিম এবং সিওপিএস (পূর্ব) জনাব মোহাম্মদ শফিকুর রহমান-এর সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।
উক্ত সাক্ষাতে নেতৃবৃন্দ ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ৮২২ নং প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্ব পালনরত লোকোমাস্টার জনাব খোরশেদ আলম তালুকদারের ওপর বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তাঁরা এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়—বাংলাদেশ রেলওয়ের যেকোনো কর্মরত লোকোমাস্টার, গার্ড বা অন্য কোনো স্টাফ যেন দায়িত্ব পালনকালে এমন হামলার শিকার না হন, সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আলোচনা চলাকালীন নেতৃবৃন্দ বলেন, “এটি শুধু একটি ব্যক্তি আক্রমণ নয়—এটি রেলওয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনকে আরও কার্যকর ও হস্তক্ষেপমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এর আগে সংগঠনের নেতারা আহত লোকোমাস্টার খোরশেদ আলম তালুকদার-এর চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে চট্টগ্রামের সিআরবি হাসপাতালে যান এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। নেতৃবৃন্দ তাঁকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে—যদি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হয়, তাহলে সারাদেশে রানিং স্টাফদের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং রেলপুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন খাত হিসেবে রেলওয়ের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও জনবল সুরক্ষা বর্তমানে একটি জরুরি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। রানিং স্টাফদের পক্ষ থেকে আজকের এই পদক্ষেপ রেল নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার সুযোগ তৈরি করলো।