ঢাকা ০১ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দুই দিনের অচলাবস্থার পর চট্টগ্রাম বন্দর পুরোদমে সচল শান্তিপূর্ণ আচরণ করলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৭২ ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস, দিনভর আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স, ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ ২০২৬ বিশ্বকাপে নেইমারের খেলা নিয়ে যা বললেন আনচেলত্তি চীন সফর সফল হয়েছে : মির্জা ফখরুল

রোজা শুরুর আগেই আগুন লেবুর বাজারে, হালি ১২০!

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,  1:57 PM

news image

রমজান এবং গরমকে কেন্দ্র করে ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা বেড়েছে লেবুর। এ অবস্থায় রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে লেবুর দাম কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহেও যে লেবুর দাম ছিল ২০-৩০ টাকা হালি, সেটি এখন কিনতে সর্বনিম্ন গুনতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। আর আকার-আকৃতি, জাত ও মানভেদে হালিপ্রতি লেবু ৮০, ১০০ এমনকি ১২০ টাকাও দাম চাওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচা বাজারের ভেতর ও বাইরের দোকানগুলোতে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানেই প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন আকার আকৃতি এবং জাতের লেবু এনেছেন বিক্রেতারা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে এলাচি লেবু (লম্বা আকৃতির লেবু)। এরসঙ্গে কলম্বো (গোল আকৃতির লেবু), কাগজী লেবুও রয়েছে। অধিকাংশ দোকানেই লেবুর দাম নির্ধারিত হচ্ছে আকৃতি ভেদে। লেবু যত বেশি বড় দামও তত বেশি। তবে যেকোনো জাতের লেবুতে সর্বনিম্ন ৬০-৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিভাবেই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে লেবু। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আবার রোজা ও গরমের কারণে চাহিদা বেশি হওয়ায় বাজারে অনেক ব্যবসায়ী পর্যাপ্ত লেবু পাননি। যা লেবুর দামে প্রভাব ফেলেছে।

রবিউল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমি ৪ ধরনের লেবু এনেছি। এর মধ্যে একটি জাতের আকার সবচেয়ে বড়। সেটি কিনতে হয়েছে হালি ১০০ টাকা। লম্বা বড় জাতের লেবুর হালি ৮০ টাকা। আর ছোট-মাঝারি আকৃতির লেবুর হালি ৬০ টাকা। এটিই সর্বনিম্ন দাম। সবচেয়ে ছোট লেবুও ১৫ টাকা পিস হিসেবে পাইকারি মার্কেটে দাম চেয়েছে। আমাদের কিছুই করার নেই। প্রতিবছরই রোজার শুরুতে এরকম বাড়তি দাম থাকে।

আরিফ বিল্লাহ নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, দাম যেমন বেশি তেমন মানও ভালো। প্রতিবছরই রোজার আগে দাম এরকম বেড়ে যায়। তাছাড়া এখন গরম শুরু হয়েছে শরবতের জন্যও ব্যাপক চাহিদা। পাইকারি বাজারেই বাড়তি দাম দিয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহেও যেই লেবু ৪০ টাকা হালি ছিল সেটি এখন ৮০-৯০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। রোজার মাস ধরে এমন চড়াই থাকবে। আবার পাহাড়ি লেবু বাজারে নামলে তখন দাম কমে আসবে।

লেবুর বাড়তি দাম নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারাও। মোমেনা খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, আজ রোজার বাজার করেছি। এখন লেবু কিনতে এসেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ভালো মানের লেবুর হালি ৮০ টাকা চাচ্ছে। আর সাইজে বড়গুলো ১০০ টাকা চাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ৮০ টাকায় এক হালি নিতে হলো। দাম কমলে আবার নেবো। রমজান মাসজুড়ে লেবুর বাড়তি দাম থাকলে শরবতের ক্ষেত্রে লেবুর বদলে অন্য উপাদানের শরবতে প্রাধান্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির