ঢাকা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে ফের তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে ৭ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৫ আরও তেল-গ্যাস না কিনলে ইইউ’র ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা ও উপকূলে টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

শিক্ষককে দেখেই অজ্ঞান শিশু, পরে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর তথ্য

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জুন, ২০২২,  5:35 PM

news image

রাজধানীর রামপুরায় স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে তিন মাস ধরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযুক্ত শিক্ষক রোকনুজ্জামান খানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির বাবা অভিযোগ করে বলেন, রামপুরার একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সে। তিন মাস ধরে যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন একই স্কুলের বাংলা বিভাগের শিক্ষক রোকনুজ্জামান। স্কুল চলাকালীন টিফিনের সময় অন্যদের অনুপস্থিতিতে শিশুটির ওপর নির্যাতন চালানো হতো। কিন্তু ভয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায়নি সে। 

বাবা আরও বলেন, পরে ওই শিক্ষককেই বাসায় টিউশনিতে রাখে শিশুটির পরিবার। তবে তাঁর কাছে কিছুতেই পড়তে রাজি হচ্ছিল না শিশুটি। ভয়ে শিক্ষকের কাছেই যেতে চাইতো না। একপর্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তখন পরিবারের সন্দেহ হয়। তাঁরা সন্তানের কাছ থেকেই জানতে পারেন ভয়াবহ তথ্য। মার্চে শিশুটির শরীরে স্পট দেখতে পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে বিষয়টি তেমন আমলে নেননি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ এর ১ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। এরপর আমরা ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছি। শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামি ওই শিক্ষককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’ 

ওসি আরও বলেন, ‘শিশুটি ওই শিক্ষককে বাসায় দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে পরিবারের লোকজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে ধীরে ধীরে তার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে পরিবার মামলা করে।’

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির