শেখ হাসিনা ও স্বজনের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 12:56 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 12:56 PM
শেখ হাসিনা ও স্বজনের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে রিট
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ গতকাল মঙ্গলবার রিটটি করেন। এতে গত ১৯ আগস্ট বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটির পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হবে।
রিট আবেদনটিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগ ওঠা ৫ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং অভিযোগ তদন্তে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, সে বিষয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে রিটে। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী সাহেদুল আজম জানান, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকে সম্প্রতি আবেদন করা হয়েছিল। দুদক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট করা হয়।
গত মাসের মাঝামাঝিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে তথ্য প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে একটি ওয়েবসাইট।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আত্মসাতের কাজে তাঁকে সহায়তা করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের কাছ থেকে একটি পারমাণবিক চুল্লি কেনার নামে এ বিশাল অর্থ লেনদেন করেন। তবে ২৫ আগস্ট ওই খবরকে ‘গুজব’ ও ‘মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।