ঢাকা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে ফের তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে ৭ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৫ আরও তেল-গ্যাস না কিনলে ইইউ’র ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা ও উপকূলে টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

সবজির বাজারে বৃষ্টির প্রভাব

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩,  12:01 PM

news image

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী চলছে বৃষ্টি। সবজির বাজারে পড়েছে এর প্রভাব। বাজারে তুলনামূলক সবজি কম থাকায় দামে অনেকটাই ‘বেপরোয়া’ আচরণ দেখা গেছে বিক্রেতাদের। এই অবস্থায় ‘বাধ্য হয়ে’ প্রয়োজনীয় বাজার করে ঘরে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা এলাকার বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম, তাই বেশি দামেই আমাদের কিনে আনতে হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যেখানে দুইদিন আগেও ছিল ৪০ টাকা কেজি। বেগুনও বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকায়। এদিকে শীতের সময়ে সবচেয়ে কমদামে থাকার কথা যেই সবজির, সেই ফুলকপি-বাঁধাকপিও বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে।

এছাড়াও বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ কেজি। দুইদিন আগেও এই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।

আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাকের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া লাউশাক ৫০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদুল হাসান বলেন, শুক্রবার এলেই শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। বাজারে সবজির দাম শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়। এখন প্রায় প্রতিটি শীতের সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে, নাহয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। কী আর করা, বাধ্য হয়েই আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাজারগুলোতে কোনো মনিটরিং কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে অনেকটা অসহায়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

রফিকুল ইসলাম নামক এক ভ্যানচালক বলেন, এমনিতেই দিন খারাপের দিনে আয় রোজগার কম, তারপর আবার জিনিসপত্রের দাম বেশি। আমাদের মতো গরিব মানুষের হয়েছে যন্ত্রণা। ভারী কাজ করতে হয় বলে না খেয়েও থাকা যায় না, আবার এই দামের বাজারে কিনে খাওয়াও কষ্টকর।

দাম প্রসঙ্গে শাক বিক্রেতা রাব্বি ইসলাম বলেন, সকালে কারওয়ান বাজারে গিয়ে খুব বেশি শাক পাইনি। কম করেই এনেছি, এরমধ্যেই আমার লাভটা বের করে নিতে হবে। আমাদেরও তো পরিবার সংসার আছে, দুইটা টাকা যদি লাভ না করতে পারি, তাহলে ব্যবসা করে কী লাভ!

তিনি বলেন, দুইদিনের বৃষ্টিতে অনেকেরই শাক নষ্ট হয়েছে, আজকের দিন এভাবে থাকলে দাম হয়তো আরও বাড়তে পারে। তবে দিন ভালো হয়ে গেলে আবার দুইদিনেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

সবজি বিক্রেতা মো. কবির হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে আমাদেরও সবজি নষ্ট হয়, তাই সব ব্যবসায়ীরাই কম কম কিনে। আবার পাইকারি বাজারেও যে সবজি খুব বেশি তা না। বৃষ্টির কারণে ঢাকায় সবজি ঢুকেই কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই দামটা একটু বাড়িয়ে রাখতে হয়।

বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করলেও তুলনামূলক চাহিদা অনেক বেশি। দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে যা দেখে আমরাও অবাক। তারমানে চাহিদা অনুপাতে সবজির পরিমাণ কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির