ঢাকা ২২ অক্টোবর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
সাগরে নিম্নচাপ, ১ নম্বর সতর্কসংকেত সংস্কারের উপসংহার থাকতে হবে, অনন্তকাল চললে প্রশ্ন উঠবেই: রিজভী ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ গণজমায়েত আড়াই শতাধিক এসআইকে অব্যাহতি ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস আজ ফ্যাসিবাদের দোসর তকমায দুঃখজনক: জি এম কাদের জামায়াতের নিবন্ধন : আপিল বিভাগে আবেদন পুনরুজ্জীবিত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিলেন রাষ্ট্রপতি

সহকারী স্টেশন মাস্টার পদে নিয়োগ পেয়েও যোগ দেননি ২২৫ জন

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ জানুয়ারি, ২০২৩,  4:40 PM

news image

গত ১৩ নভেম্বর ২০২২ বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী স্টেশন মাস্টার (এএসএম) পদের নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষা শেষে নিয়োগ পান ৫৮৭ জন, তার মধ্যে ৩৬২ জন যোগ দিয়েছেন, ২২৫ জন যোগ দেননি। তারা কখনোই যোগ দেবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে জনবলের অভাবে রেলওয়ে যাত্রীসেবা বাড়ানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অপেক্ষমাণ তালিকা না থাকায় নতুন করে আরেকটি সার্কুলার বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এগোতে হবে। তবে চলমান পরিস্থিতিতে নতুন কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত নতুন—পুরোনোদের সমন্বয়ে ট্রেন চলাচলে কাজ করে যেতে হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে রেল ভবনে যোগদান শুরু হয় সহকারী স্টেশন মাস্টারদের। চূড়ান্তভাবে ৫৮৭ জনের নাম বা ফল প্রকাশ হলেও নিয়োগপ্রাপ্ত অর্ধেকই যোগ দেননি চাকরিতে। বিসিএস পরীক্ষার কারণে পূর্বাঞ্চলের জিএম দপ্তরে ২৩ জনের ওপরে উপস্থিত হতে পারেননি। ট্রেন চলাচল ঠিক রাখতে হলে প্রতিটি স্টেশনে জনবল রাখতে হবে। দীর্ঘদিন পর এ জনবল নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও প্রত্যাশিত যোগদান নেই। এরই মধ্যে অনেকেই বিসিএস, স্কুল, ব্যাংক, পুলিশ, কাস্টমসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। তারা বলেন, আলোচনার মাধ্যমে একই বিজ্ঞপ্তিতে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ প্রক্রিয়া রাখার সুযোগ করে দিলে, যারা চাকরিতে যোগ দেবেন না, তাদের বাদ দিয়ে সিরিয়ালে থাকা অন্যদের আনার সুযোগ তৈরি হবে। এতে নতুন করে সময়ক্ষেপণ, টাকা খরচ, বিজ্ঞপ্তি জারিসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হবে না।

রেলওয়ে সূত্রে আরো জানা গেছে, কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়া ৩৬২ জনের মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ১৮৩ জন ও পশ্চিমাঞ্চলে ১৭৯ জন রয়েছেন। পূর্বাঞ্চলে মোট রেলস্টেশন ২২৮টি। এর মধ্যে পূর্ণ বন্ধ ৪৯টি, আংশিক বন্ধ ছয়টি। পশ্চিমাঞ্চলে মোট রেলস্টেশন ২৫৫টি। এর মধ্যে পূর্ণ বন্ধ রেলস্টেশন ৬৯টি, আংশিক বন্ধ চারটি। তা ছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়েতে মোট সহকারী স্টেশন মাস্টারের শূন্যপদ ৬৫৪টি। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে সহকারী স্টেশন মাস্টারের শূন্যপদ ৩০৪টি।

রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল আহসান বলেন, চূড়ান্ত নির্বাচিতদের মধ্যে প্রায় ৩৬২ জন যোগদান করছেন। কিন্তু বাকি অনেকেই যোগ দেননি। হয়তো অন্য কোথাও যোগদান করেছেন। যেহেতু অতিরিক্ত নিয়োগ বা চূড়ান্ত করে রাখার সুযোগ নেই, তাই নতুন করে আবারও বিজ্ঞপ্তি বা নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে রেলের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় স্টেশন মাস্টার নিয়োগের পাশাপাশি কিছু বন্ধ স্টেশনও খুলে দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এসব কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় রেলওয়ে পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত কোটা অনুসরণ না করার কারণে রেলওয়ে পোষ্যরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং রেলওয়ে পোষ্যদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ বিধিতে পোষ্যের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে আবেদনের বয়স ১৫ বছরের স্থলে ২০ বছর করায় অধিকাংশ রেলপোষ্য আবেদন করার সুযোগ হারাচ্ছে। আবার যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে তাদের একটি বড় অংশ নিয়োগ দূর্নীতির কাছে হার মানছে। শুধু তাই নয় স্বৈরাচারিতামূলক ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধিমালা মাধ্যমেও রেলওয়ে পোষ্যদের সুকৌশলে অধিকার বঞ্চিত করছে। নিয়োগ পরীক্ষায় রেলওয়ে পোষ্য কোটা অনুসরণ করা হলে একদিকে যেমন পোষ্যরা নিয়োগের সুযোগ পেত তেমনি চাকরিতে যোগদান না করার মত এরকম ঘটনা ঘটতো না।

তিনি আরও বলেন, শুধু সহকারী স্টেশন মাস্টার নয় নিয়োগ বিধি ২০২০ এর মাধ্যমে যে সকল পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সবগুলো পদেই এরকম ঘটনা ঘটছে। কিছু প্রকাশিত হচ্ছে আর কিছু হচ্ছে না।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির