হাজার হাজার টিএলআর অস্থায়ী শ্রমিকদের বেকারত্বের অভিশাপে ঠেলে দিবেন না - মোহাম্মদ হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ জুলাই, ২০২২, 11:59 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ জুলাই, ২০২২, 11:59 AM
হাজার হাজার টিএলআর অস্থায়ী শ্রমিকদের বেকারত্বের অভিশাপে ঠেলে দিবেন না - মোহাম্মদ হোসেন
দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ রেলওয়েতে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োজিত আছেন টিএলআর শ্রমিকরা। তারা নানা প্রতিকূল মুহূর্তেও নিরলসভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষ করে রেলওয়ের অস্থায়ী গেইট কিপারেরা রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে নিরাপদে ট্রেন চলাচলে। টিএলআর শ্রমিকরা ঠিক মতো মাসিক বেতনটুকু মাসে পায় না। নেই কোন ছুটি। এভাবেই বছরের পর বছর চাকুরি করে যাচ্ছেন এবং পরিবার নিয়ে জীবনজাপন করছেন। অনেকেই দীর্ঘ ১৬ বছর, ১৪ বছর, ১২ বছর, ৮ বছর ধরে একই পদে টিএলআর হিসেবে কাজ করে আসছেন।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ৩ বছর চাকুরী করার পর স্থায়ী না করায় অনেকেই আদালতে রায়ের মাধ্যমে অস্থায়ী থেকে স্থায়ী নিয়োগ পাচ্ছেন। এই প্রক্রিয়ার অসংখ্য টিএলআর শ্রমিকদের চাকুরী স্থায়ী হচ্ছে। কিন্তু এখানেও রেলওয়ে প্রশাসন আদালতের রায় কার্যকরে করছেন গড়িমসি।
হটাৎ টিএলআর শ্রমিকদের বাদ দেওয়ার জন্য রেলওয়ে প্রশাসন জনবল সংকট দেখিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে যাছে। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয় এবং বিভিন্ন দপ্তরে চলে বিক্ষোভ আন্দোলন।
হটাত ৩০/৬/২২ তারিখ হতে অস্থায়ী শ্রমিকদের অব্যহতি দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় বিভিন্ন দপ্তরে।
এনিয়ে টিএলআর শ্রমিকদের মধ্যে চাকরি হারানোর আতংক ছড়িয়ে পরে।
শ্রমিক সংগঠক শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হোসেন শুরু থেকেই আউটসোর্সিং পথা বাতিল ও টিএলআর শ্রমিকদের অব্যহতির প্রতিবাদ করে আসছেন। তিনি বলেনঃ- রেলওতে জনবল সংকট দেখিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিক নিতে হবে কেনো? যেসকল শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে টিএলআর হিসেবে কাজ করে আসছে তাদের স্থায়ী করলে রেল দক্ষ শ্রমিক পাবে।
টিএলআর শ্রমিকদের বাদ দেওয়ার জন্য এটি রেলওয়ের একটি সূক্ষ্ম কৌশল। প্রায় ৮,০০০ হাজার শ্রমিকদের অব্যহতি দিলে এই মানুষ গুলো তাদের পরিবার নিয়ে কোথায় যাবে? কি করবে? এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা এই প্লানিং রেল বান্ধব সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে আছে তাই এসব করছে। আমারা আমাদের দাবী আদায়ে প্রশাসনের কাছে বলে আসছি।
দাবী সমুহ
১। যেসকল টিএলআর শ্রমিকদের চাকুরির বয়স ৩ বছর পার হয়েছে সকলকে দ্রুত স্থায়ীভাবে নিয়োগ করতে হবে। ২। টিএলআর শ্রমিকদের বেতন সময় মতো দিতে হবে। ৩। আউটসোর্সিং প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে। ৪। রেলওয়ে নিয়োগ বিধি-২০২০দ্রুত সংশোধন ৫। কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী রেলওয়ে কর্মচারীর পোষ্যকে সরাসরি নিয়োগ ৬। রেলওয়েকে প্রাইভেট সেক্টরে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।