ঢাকা ০২ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
আজ বিজয়া দশমী সুমুদ ফ্লোটিলা বহরের দুই জাহাজ ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েল নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সাগর উত্তাল দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা বহাল, সংঘর্ষে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর চলতি অর্থবছর শেষে দেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে হবে ৫ শতাংশ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতিসংঘ মহাসচিবের পূর্ণ সমর্থন হামলার জন্য কাতারের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু অস্ত্র সমর্পণ করবে না ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা

হামলার জন্য কাতারের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  1:27 PM

news image

কাতারে বিমান অভিযান পরিচালনার জন্য অনুতপ্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুলরহমান আল থানির কাছে ক্ষমা চাওয়র পাশাপাশি ভবিষ্যতে কাতারে আর কখনও হামলা করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি নেতানিয়াহুর এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। সেখানে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় তার উপস্থিতিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় নেতানিয়াহুর। সে সময় কাতারে হামলার জন্য ক্ষমা চান নেতানিয়াহু।

“কাতারে হামাসকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হামলায় কাতারি নিরাপত্তাকর্মী নিহতের ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানির কাছে গভীর শোক প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া ইসরায়েলি জিম্মিদের হামাসের আলোচনা চলার সময় পরিচালিত এই হামলার মাধ্যমে কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জন্য অনুতাপও প্রকাশ করেছেন তিনি।”  

“কাতারের প্রধানমন্ত্রী আল থানি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য অর্থপূর্ণ ভূমিকা রাখতে কাতার সবসময়েই প্রস্তুত।”

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সোমবার এক বার্তায় টেলিফোনে আল থানি ও নেতানিয়াহুর ফোনালাপের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত ৯ অক্টোবর বিকেলের দিকে কাতারের রাজধানী দোহায় একটি আবাসিক ভবনে বিমান অভিযান পরিচালনা করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ওই ভবনটিতে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের বর্তমান শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়া এবং গোষ্ঠীটির অন্যান্য নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ট্রাম্পের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন।

খলিল আল হায়া এবং হামাসের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের হত্যার উদ্দেশে এ হামলা চালিয়েছিল আইডিএফ। হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন এবং নিহতদের মধ্যে একজন কাতারি নিরাপত্তারক্ষীও ছিলেন। তবে খলিল কিংবা হামাসের অন্য কোনো জ্যেষ্ঠ নেতার কোনো ক্ষতি হয়নি।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির