ঢাকা ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে ফের তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন ১২ ম্যাচে নবম হার ম্যানসিটির, আর্সেনালের বড় জয় ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে ৭ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৫ আরও তেল-গ্যাস না কিনলে ইইউ’র ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা ও উপকূলে টঙ্গীতে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নদীতে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

১৭ জেলায় বন্যার শঙ্কা, আরো দু-তিন দিন চলবে বৃষ্টিপাত

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন, ২০২২,  12:51 PM

news image

আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের আরো ১৭টি জেলা বন্যায় আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া ভারতের মেঘালয় ও আসামে ক্রমাগত ভারি বৃষ্টিপাত দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, জামালপুর জেলা স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে গত দুই দিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আরো দু-তিন দিন সারাদেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। ক্রমাগত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দেশের ৯৫টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ প্রধান নদ-নদীতে পানি বাড়তে থাকবে। 

দেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী দুই দিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চল ও দেশের মধ্যাঞ্চলের আরো ১৭টি জেলা বন্যায় আক্রান্ত হতে পারে। কারণ, সেসব এলাকায় বন্যার তীব্রতা বাড়ছে, নদীগুলোর পানি আরো বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। সারাদেশের ১০৯টি নদী পর্যবেক্ষণ করছে এই দফতর। তার মধ্যে ৯৫টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় তা দেশের কুড়িগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা থেকে প্রবেশ করে আরো এগিয়ে আসছে। ফলে জামালপুর, বগুড়া, শেরপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও পাবনায় বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে। বন্যার পানি আরো নিচের দিকে নেমে এলে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ইত্যাদি এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী দু-তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের সব বিভাগেই অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, দেশের সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় রেকর্ড ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সারাদেশেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টি হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশেই বৃষ্টি হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ২৩৯ মিলিমিটার। এছাড়া কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১৩৫, ময়মনসিংহে ১২৭, নেত্রকোনায় ২০৬, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৮৮ ও সিলেটে ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির