৯০ দিন ব্যাংকঋণ অনাদায়ি থাকলে খেলাপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ নভেম্বর, ২০২৪, 1:06 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ নভেম্বর, ২০২৪, 1:06 PM
৯০ দিন ব্যাংকঋণ অনাদায়ি থাকলে খেলাপি
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ঋণ কার্যক্রমে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ভবিষ্যতে অনাদায়ী ঋণের বকেয়া সময়সীমা অনুযায়ী খেলাপির স্তর এবং আনুপাতিকহারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে সব ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে কিস্তি পরিশোধের শেষ দিন অর্থ পরিশোধ না করলেই পরদিন থেকে ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ দেখাতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে হলে নিম্নমান, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে সন্দেহজনক ও ১২ মাস বা তার বেশি হলে মন্দ বা খেলাপি হিসেবে দেখাতে হবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) খেলাপি ঋণ বিষয়ে সর্বশেষ নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই নীতিমালা আগামী বছরের এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হবে।
গতকালই বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
১২ বছর পর বিআরপিডি এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রভিশনিং বিষয়ক একীভূত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, সব ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ বা সমন্বয়ের জন্য নির্ধারিত দিনের পরবর্তী দিন থেকে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে। আর মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে হলে নিম্নমান, ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে সন্দেহজনক ও ১২ মাস বা এর বেশি হলে মন্দ বা ক্ষতিকারক মানে খেলাপি করতে হবে।
একই সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড ঋণের ক্ষেত্রে ঋণস্থিতির ১ শতাংশ, স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ঋণস্থিতির ৫ শতাংশ জেনারেল সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে নিম্নমান হলে সঞ্চিতির ভিত্তির ওপর ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক হলে সঞ্চিতির ভিত্তির ওপর ৫০ শতাংশ ও মন্দ বা ক্ষতি হলে সঞ্চিতির ওপর ১০০ শতাংশ বিশেষ সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে।
হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভহাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যদি কোনো ঋণ বা অগ্রিম সাব-স্ট্যান্ডার্ড এবং সন্দেহজনক মানে খেলাপি করা হয়, তাহলে ওই ঋণের ওপর অর্জিত সুদ আয় অ্যাকাউন্টে জমা করার পরিবর্তে সুদের সাসপেন্স অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। কোনো ঋণ বা অগ্রিম ক্ষতিজনক মানে খেলাপি করা হলে একই অ্যাকাউন্টে সুদের চার্জ করা বন্ধ হয়ে যাবে।
পুনঃনির্ধারিত ঋণের ক্ষেত্রে অবাস্তব সুদ সাসপেন্স অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আয় অ্যাকাউন্টে জমা করা যাবে না। একই সঙ্গে এ ধরনের ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে ফাইল করা পর্যন্ত সময়ের জন্য সুদ ও মূল পরিমাণের জন্য একই ফাইল করার জন্য ঋণ অ্যাকাউন্টে মামলা চার্জ করা যেতে পারে। কিন্তু এভাবে লোন অ্যাকাউন্টে ধার্যকৃত সুদ সুদের মধ্যে সংরক্ষণ করতে হবে সাসপেন্স অ্যাকাউন্ট।
এ ছাড়া যদি খেলাপি ঋণ বা এর কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করা হয় অর্থাৎ, ঋণ অ্যাকাউন্টে প্রকৃত আমানত কার্যকর করা হয় তাহলে প্রথমে সুদ উল্লিখিত আমানত থেকে আদায় করতে হবে এবং পরে ঋণ সমন্বয় করা হবে।