ঢাকা ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গণভোটের ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ মানুষ বুঝতে পারছে না : মির্জা ফখরুল সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত ভারত-পাকিস্তানকে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছিলাম : ট্রাম্প রাজসাক্ষী আবজালুলের জেরা ঘিরে ট্রাইব্যুনালে হট্টগোল আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না : ডিএমপি কমিশনার ১৪ মাস পর লিটনের সেঞ্চুরি, চারশ’র পথে বাংলাদেশ সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল ‘ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ ছয়টি মরদেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন’ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসি ওয়াদাবদ্ধ : সিইসি

আজও দেশব্যাপী শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন, বিকেলে ফের বৈঠক

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ নভেম্বর, ২০২৫,  12:50 PM

news image

তিন দফা দাবি আদায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন আজ। পাশাপাশি রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিও অব্যাহত রয়েছে। 
সংকট নিরসনে সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের আরেক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকটি সচিবালয়ে হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় সচিবালয়ে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষক নেতারা কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে পরে শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষক ও নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিলে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, আমরা সরকারের আশ্বাস শুনেছি, তবে লিখিত বা দৃশ্যমান কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। তাই দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে, অবস্থান কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে।
দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা কোথাও কর্মবিরতি স্থগিতের কোনো ঘোষণা দিইনি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। 
চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলনে নামেন। গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু শিক্ষক আহত হন। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার এলাকায় আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই শুরু হয় টানা অবস্থান ও কর্মবিরতি কর্মসূচি।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান ও সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। কর্মবিরতির কারণে দ্বিতীয় দিনেও এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির