ঈদযাত্রা : লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ এপ্রিল, ২০২২, 4:26 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ এপ্রিল, ২০২২, 4:26 PM
ঈদযাত্রা : লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও ভিড় সামলাতে সদরঘাটের লঞ্চগুলোতে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলগামী সবগুলো রুটের লঞ্চে চলছে টিকিট বিক্রি। সিট খালি থাকা সাপেক্ষ আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে টিকিট বেচাকেনা। দু-একটি লঞ্চে ভাড়া বাড়লেও সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী টিকিট দিচ্ছেন লঞ্চ মালিকরা। তবে অব্যবস্থাপনার কারণে টিকিট পেতে বেগ পেতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সদরঘার লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায়, টিকিট বিক্রি শুরু হলেও সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে প্রত্যাশানুযায়ী যাত্রীদের দেখা মিলছে না। কিছু কিছু লঞ্চে অনলাইনে টিকিট বিক্রি চলছে। পারাবত ১০, মানামী ১, ২, সুরভী, সুন্দর বন ১০ লঞ্চের টিকিট বিক্রির জন্য বসে আছেন লঞ্চের দায়িত্বরত কর্মচারীরা।
অন্যদিকে, ঈদ উপলক্ষে কয়েক লঞ্চে ভাড়া বাড়লেও বেশিভারগ লঞ্চে ভাড়া স্বাভাবিক রয়েছে। জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশালগামীলঞ্চ এমভি সুরভী ৭ সিঙ্গেল কেবিনে ১০০ টাকা ভাড়া বেড়ে ১৫০০ হয়েছে। ডাবল কেবিনে ২০০ টাকা বেড়ে ২৬০০ টাকা হয়েছে। ভিআইপি ১০০০ টাকা বেড়ে ৮০০০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে আগের ভাড়াই এখনো বহাল আছে পারাবত ১২ লঞ্চে। সিঙ্গেল কেবিন ১৪০০ টাকা।৷ ডাবল ২৮০০ টাকা, ভিআইপি ৮ থেকে ১০ হাজার, ডেক ৩৫০ টাকা।
পারাবত ১০ লঞ্চের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জাগো জানান, আমাদের লঞ্চে দুই-তিন দিন আগে থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে অর্ধেক টিকিট বিক্রি শেষ। আজ থেকে টিকিটপ্রত্যাশীদের চাপ থাকার কথা থাকলেও নেই।
সুন্দরবন ১০ লঞ্চের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির জানান, গত দুই ঈদে করোনার কারণে লঞ্চ প্রায় বন্ধ ছিল। তবে এবার যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। বিশেষ করে ২৭ থেকে ৩০ তারিখের টিকিটের চাহিদা বেশি। এ তিন দিনের টিকিট বেশি চান যাত্রীরা। এ তিন দিনের টিকিট নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।
এম ভি সুরভী-৭ লঞ্চে দেখা গেল ভিন্নচিত্র, সেখানের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সাইদুল ইসলাম জানান, আমরা অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু করছি। কিন্ত অফলাইনে টিকিট পেতে হলে বরিশাল অফিস থেকে কাটতে হবে। অনলাইনে যারা টিকিট নিচ্ছেন, তারা ওই কপি ডাউনলোড করে আনলে টিকিট দেব।
টিকিট নিতে আসা এ ব্যক্তি জানান, আইডি কার্ডের ভোগান্তিতে পড়েছি। কেবিনের টিকিট পেতে যে আইডি কার্ড লাগবে এটা জানা ছিল না। তাই টিকিট না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি।
আইডি কার্ড নিয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন টিকিট নিতে আসা আরো দুই যুবক। তারা জানান, আইডি কার্ড নেই তাই টিকিট পাচ্ছি না। তবে লঞ্চের স্টাফদের পরিচিত অনেকেই আইডি কার্ড ছাড়া টিকিট পেয়েছেন।
এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি জানান, এ বছর যাত্রীদের নিরাপত্তা ও কালোবাজারি রোধে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে লঞ্চে কেবিনের টিকিট দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নদীবন্দর থেকে আমাদের এ নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গত দুই বছর ঈদে আমাদের খারাপ অবস্থা গেছে। এবার যাত্রীদের চাপ বাড়বে। সে অনুযায়ী আমাদের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। ডক থেকে রং লাগিয়ে সংস্কার করে ঘাটে ফেরানো হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা দরকার, সেরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।